দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত নামী একজন অভিনেতা (South Indian actor) হলেন মহেশ বাবু (Mahesh Babu)। এই অভিনেতা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির শিল্পীদের মধ্যে একজন। স্বাভাবিকভাবেই তাই আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিকও পান। মহেশ বাবু এমন একজন অভিনেতা যিনি মুখের ওপর বলিউডে কাজ করতে চান না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন।
শুধু এটুকুই নয়, অভিনেতা এও বলেছিলেন বলিউডের ক্ষমতা নেই তাঁর পারিশ্রমিক দেওয়ার! সাউথ সুপারস্টারের এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছিল। তবে অভিনেতার সম্পত্তির পরিমাণ (Mahesh Babu net worth) শুনলে হয়তো তাঁর এই কথা একেবারেই অত্যুক্তি মনে হবে না।
দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষস্থানীয় এই অভিনেতার কেরিয়ার শুরু শিশু শিল্পী হিসেবে। এরপর প্রায় ৯ বছর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকার পর নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে দেখতে হয়নি তাঁকে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মহেশ বাবুর জনপ্রিয়তা। আর সেই সঙ্গেই বেড়েছে সম্পত্তিও।
আজকের প্রতিবেদনে এই সাউথ সুপারস্টারের সম্পত্তির পরিমাণই তুলে ধরা হল। জানিয়ে রাখি, মহেশ বাবু সম্পত্তির নিরিখে কিন্তু বলিউডের বহু তারকাকে পিছনে ফেলে দেন। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যায়, মহেশ বাবু প্রত্যেক সিনেমার জন্য ৫৫ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। তবে এখন কিন্তু এই অঙ্কটা বেড়ে গিয়েছে।
সময়ের সঙ্গেই আকাশ ছুঁয়েছে মহেশ বাবুর পারিশ্রমিক। একসময় প্রত্যেক ছবির জন্য ৫৫ কোটি পারিশ্রমিক নিলেও এখন তিনি ছবিপিছু ৮০ কোটি টাকা নেন বলে জানা গিয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, মহেশ বাবুর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩২ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় সেই অঙ্কটা প্রায় ২৪৪ কোটি টাকার কাছাকাছি। শুধুমাত্র সিনেমা থেকেই নয়, ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকেও মোটা টাকা আয় করেন দক্ষিণী তারকা।
বিনোদন দুনিয়ার বাকি তারকাদের মতোই মহেশ বাবুর বাড়ির গ্যারেজেও সাজানো রয়েছে বিশ্বের একাধিক দামি দামি গাড়ি। বিএমডব্লিউ, অডি, মার্সিডিজ থেকে শুরু করে ল্যান্ড রোভার, ল্যান্ড ক্রুজার- মহেশ বাবুর কাছে রয়েছে সব ধরণের লাক্সারি গাড়ি। এছাড়াও অভিনেতার যে নিজস্ব ভ্যানিটি ভ্যান রয়েছে সেটি কোনও পাঁচ তারা হোটেলের থেকে কম নয়। বিভিন্ন লাক্সারি সুবিধা রয়েছে এটিতে। শোনা যায়, মহেশ বাবুর ভ্যানিটি ভ্যানের মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।