সবেমাত্র নতুন বছর শুরু হয়েছে, এরই মধ্যে টলিপাড়া থেকে শোনা গেল দুঃসংবাদ। আজ অর্থাৎ ৩রা জানুয়ারি সকালে প্রয়াত টলি পরিচালক সন্দীপ চৌধুরী (Sandip Chowdhury)। শুটিং সেটেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন, নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালেও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, অকালেই ইহলোককে বিদায় জানালেন প্রখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর (Anjan Chowdhury) ছেলে সন্দীপ চৌধুরী।
ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে রীতিমত শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী চুমকি (Chumki Chowdhury) এবং রিনা চৌধুরীরা (Rina Chowdhury)। একইভাবে পরিচালককে হারিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। এদিন ভাইয়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিনা চৌধুরী।
এদিন একটি সিরিয়ালের শুটিংয়ের কাজে গিয়েছিলেন সন্দীপ চৌধুরী। সেখানেই হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর স্ত্রী হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তড়িঘড়ি। কিন্তু সেখান থেকে আর বেঁচে ফেরা হয়নি। এদিন ভাইয়ের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রিনা চৌধুরী। তাঁর মতে, শরীরের একদমই যত্ন নিত না ভাই। কিছুদিন আগেই শুটিং ফ্লোরে অজ্ঞান হয়ে পরে গিয়েছিলেন। বহুবার বলা হয়েছিল ডাক্তার দেখানোর জন্য। কিন্তু সেটাও কাজের চাপের বাহানায় যেতে চাইতেন না।
শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বিগত ১৭ই ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। এদিন দিদি চুমকি চৌধুরীর সাথেও কথা বলার চেষ্টা করেছিল সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু তিনি কোনো কথাই বলতে পারেননি। মাস তিনেক আগেই মাতৃ হারা হয়েছেন অভিনেত্রী। তারপর কয়েক মাসের ব্যবধানে ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ছোটপর্দার সিরিয়াল থেকে বড়পর্দার সিনেমা উভয়ক্ষেত্রেই কাজ করেছেন সন্দীপ চৌধুরী। ‘এরাও শত্রু… মুখোশের আড়ালে’ সিরিয়ালের পরিচালনার কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও একাধিক সিরিয়ালে পরিচালনা থেকে ক্রিয়েটিভি পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন তিনি। সম্প্রতিকালে ‘উড়ন তুবড়ি’ সিরিয়ালেও সৃজনশীল পরিচালনার কাজ সামলেছিলেন।
আগামী দিনে একাধিক সিরিয়ালের কাজ থেকে শুরু করে সিনেমার কাজ করার কথা ছিল। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও জিতু কমলের সাথে ‘বিদ্রোহিনী’ নামের একটি ছবির কাজও করার কথা ছিল। কিন্তু সেসব আর হল না। মাত্র ৪৪ বছর বয়সেই পৃথিবীকে বিদায় জানালেন টলিপাড়ার এই জনপ্রিয় পরিচালক।