বিনোদন (Entertainment) জগতের সাথে রাজনীতির (Politics) সম্পর্ক আজকের নয়। বিনোদন আর রাজনীতি বহুদিন আগেই মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে বাংলা তথা গোটা দেশে। আমাদের রাজ্যে যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হলেন ডিস্কো কিং মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)এবং বাংলার সুপারস্টার দেব অধিকারী (Dev adhikary)। রাজনৈতিকভাবে তাঁরা দুজনেই ভিন্ন মতাদর্শের অধিকারী। কিন্তু এরইমাঝে সাম্প্রতি দুই প্রজন্মের এই দুই জনপ্রিয় অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে নতুন সিনেমা ‘প্রজাপতি’ (Projapati)তে।
বড়দিনের আগেই সদ্য প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এই সিনেমা। আর সিনেমার মুক্তি ঘিরে সম্প্রতি তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। দর্শকদের দাবি রাজনৈতিক কারণেই হলে জায়গা পায়নি দেব-মিঠুন অভিনীত এই প্রজাপতি সিনেমা। চারদিকে যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক তরজা। নন্দনে জায়গা না পাওয়ায় আক্ষেপ করে একদিন আগেই আক্ষেপের সুরে দেব টুইট করেছিলেন ‘এইবার মিস করবো নন্দন। কোন সমস্যা নেই, পরেরবার ফের দেখা হবে’।
দেবের এই টুইট নিয়েই নতুন করে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে পরোক্ষভাবেই দেব মিঠুনের মত অভিনেতাদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন এককালে শিশু অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিক (Aritra Dutta Banik)। প্রসঙ্গত একসময় অরিত্র যেমন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে নাচের রিয়ালিটি শোতে অংশগ্রহণ করেছেন। তেমনি দেবের সাথে শিশু অভিনেতা হিসেবে কাজ করেছেন ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘খোকাবাবু’, এবং ‘লে ছক্কা’র মতো একাধিক জনপ্রিয় সিনেমায়।
এবার সেই অরিত্রই ফেসবুক পোস্টে দেব-মিঠুনকে খোঁচা দিয়ে লিখলেন ‘রাজনীতির চাকরি ছেড়ে সিনেমায় ফিরুন’। বুধবার ফেসবুক পোস্টে সরাসরি নাম নিয়েই অভিনেতা লিখেছেন ‘কুণাল ঘোষ বা মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন কোন রাজনীতিবিদের বুকের পাটা হতো না সিনেমা বা অভিনেতাদের নিয়ে ফালতু কথা বলার, যদি না বাংলার সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরা নিজেদের ‘অল্টারনেট জব সিকুরিটি’ খুঁজতে বোকার মতো রাজনীতির পেশায় এসে নিজের ফ্যানদের কাছে শ্রদ্ধার জায়গাটা নষ্ট না করতেন’।
সেইসাথে নিজেদের দিকেই আঙুল তুলে অরিত্রর আরও সংযোজন ‘আমরা শিল্পীরা নিজেদের দোষে এই অপমানের সুযোগ করে দিয়েছি তাই রাজনৈতিক দলগুলি নিজের ভোটের আবেগ বিক্রি করতে গিয়ে সিনেমার ইমোশনকে বিক্রি করছে।’ তাই শেষে অভিনেতার ছোট্ট পরামর্শ ‘এখনো সময় আছে যদি নিজের ক্রাফটের ওপর আর অডিয়েন্সের ওপর কনফিডেন্স থাকে এই মুহূর্তে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে নিজেদের মেরুদণ্ড বুঝিয়ে দিয়ে রাজনীতির চাকরি ছেড়ে দিয়ে আবার সিনেমার স্ক্রিনে ফিরুন’।