বাঙালির বিনোদনের ডেলিডোজ মানেই মেগা সিরিয়াল। অবসর সময়ে পছন্দের সিরিয়াল না দেখলে গোটা দিনটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায় সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের। দর্শকমহলে অত্যন্ত জনপ্রিয় জি বাংলার এমনই একটি সিরিয়াল হল ‘মিঠাই'(Mithai)। দেখতে দেখতে প্রায় ২ বছর হতে চলল এই সিরিয়ালের বয়স। এরইমধ্যে মোদক পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকেই আপন করে নিয়েছেন দর্শকরা।
সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা সিদ্ধার্থ মিঠাই তো বটেই দর্শকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন এই সিরিয়ালের অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীরাও। একেবারে শুরুর দিন থেকেই মনোহরার প্রত্যেক সদস্যকেই বড্ড ভালোবেসে ফেলেছেন দর্শকরাও। তাই টি আর পি (TRP) তালিকায় স্কোর যাই হোক না কেন দর্শকমহলে মিঠাই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা কমেনি আজও।
প্রসঙ্গত এখোনকারদিনে প্রত্যেক বিনোদনমূলক চ্যানেলেই নতুন সিরিয়ালের ভীড়। টিআরপি-র চক্করে কমে আসছে বেশিরভাগ সিরিয়ালের যায়। নতুন সিরিয়ালের ধাক্কায় কোনো সিরিয়াল শেষ হচ্ছে ৮ মাসে আবার কোনো সিরিয়ালের আয়ু মাত্র ৩ মাস। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই মুহূর্তে জি বাংলার সবচেয়ে পুরোনো সিরিয়াল হল মিঠাই।
একটা সময় ছিল যখন প্রতি সপ্তাহেই টিআরপি তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিল মিঠাই। কিন্তু সম্প্রতি টিআরপি তালিকায় নম্বর বেশ কমে এসেছে একসময়ের এই বেঙ্গল টপার সিরিয়ালের। যার ফলে ইতিমধ্যেই রাত ৮-টার প্রাইম টাইম স্লট হারিয়ে সন্ধ্যা ৬টার স্লটে সম্প্রচারিত হচ্ছে মিঠাই। সেইসাথে এখন আমূল পরিবর্তন এসেছে সিরিয়ালের গল্পেও।
মিঠাইয়ের মৃত্যুর পর ছেলে শাক্য বড় হওয়ার সাথে মোদক বাড়িতে হাজির হয়েছে হুবহু মিঠাইয়ের মতো দেখতে মিঠি। কিন্তু এই মিঠিই আসল মিঠাই কিনা তা নিয়ে দর্শকমহলে জল্পনার শেষ নেই। সিরিয়ালের যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন সিরিয়ালে এরইমধ্যে মিঠির সাথে বিয়ে হয়েছে উচ্ছেবাবুর। এরই মধ্যে দর্শকদের ভালোবাসায় দেখতে দেখতে ৭০০ পর্ব পূর্ণ করেছে মিঠাই।
মিঠি সেজে,কেক কেটে সৌমিতৃষার সেই সেলিব্রেশনের ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। এসবের মধ্যেই কানে আসছে মন খারাপের খবর (Bad News)। জানা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি ঝাঁপ গোটাতে চলেছে জি বাংলার অন্যতম সেরা সিরিয়াল মিঠাই। জানা যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে এই ধারাবাহিকটিও। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ কিংবা এই ধারাবাহিকের সাথে যুক্ত কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী। তাই আসল সত্যিটা কী তা এখনও পর্যন্ত জানেন না কেউই।