দু’দিন হল শহর কলকাতায় অল্প অল্প শীত অনুভব হচ্ছে।আর শহরে শীত এসেছে মানেই বাঙালিদের মনটা ঘুরুঘুরু করতে শুরু করে দিয়েছে। শীত মানেই তো ঘুরে বেড়ানো, শীত মানেই চুটিয়ে পিকনিক। আজকের এই প্রতিবেদনে তাই কলকাতার (Kolkata) কাছাকাছি ১০টি সেরা পিকনিক স্পটের (Picnic spot) খোঁজ দেওয়া হল।
মায়াপুর (Mayapur) – শীতকালে নদীর ধারে বসে পিকনিকের কথা ভাবলেই মনটা খুশিতে ভরে ওঠে। যদি আপনিও এই মজা চান, তাহলে জলঙ্গি এবং গঙ্গার মাঝে অবস্থিত মায়াপুরে চলে যেতে পারেন। ইসকনের মন্দিরের দর্শনের পাশাপাশি এখানে চুটিয়ে পিকনিকও করতে পারেন। বাড়িভাড়া করার সুবিধাও রয়েছে। কলকাতা থেকে মায়াপুর সোজা বাস যায়। এছাড়া ট্রেনে করে কৃষ্ণনগর এসে অটো করে মায়াপুর ঘাট এবং সেখান থেকে নৌকা করে মায়াপুর।
কল্যাণী পিকনিক গার্ডেন (Kalyani Picnic Garden) – কল্যাণী সীমান্ত স্টেশনের কাছেই অবস্থিত এই পিকনিক গার্ডেনটি। প্রবেশমূল্য লাগে। যদি পিকনিক করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আগে থেকে কথা বলে নিতে হবে।
গাদিয়াড়া (Gadiara) – কলকাতা থেকে প্রায় ৮৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই পিকনিক স্পটটি। হাওড়া জেলার অত্যন্ত জনপ্রিয় পিকনিক করার স্থান এটি। ধর্মতলা থেকে বাসে করে ২-২.৫ ঘণ্টা লাগবে। গাদিয়াড়াই গিয়ে আপনি চাইলেই হুগলি নদীর তীরে বসে পিকনিক করতে পারবেন।
গড় মান্দারণ (Gar Mandaran) – কামারপুকুর থেকে ঘাটাল যাওয়ার রাস্তায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার গেলেই পড়বে গড় মান্দারণ। বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে ঘন গাছের সারি। প্রকৃতির কোলে এই স্থানটি পিকনিক করার জন্য একেবারে আদর্শ।
গড়চুমুক (Garchumuk) – হাওড়ার আরও একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্পট এটি। শ্যামপুর এলাকার এই পিকনিক স্পট থেকে কিছুটা গেলেই পড়বে এশিয়ার বৃহত্তম গেটের মধ্যে একটি আটান্ন গেট। সামনেই রয়েছে দামোদর নদী। পিকনিক করার জন্য গড়চুমুক একেবারে পারফেক্ট জায়গা।
মাইথন (Maithon) – আসানসোল থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে মাইথন। পিকনিক করার পাশাপাশি যদি ২-১ দিনের ছুটি নিতে চান তাহলে মাইথনে চলে যেতেই পারেন। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ হলে তো এই জায়গাটি আপনার জন্যই। গাছপালায় ঘেরা এই অপূর্ব জায়গাটির কাছেই রয়েছে কল্যাণীশ্বরী মন্দির। তাই ঘুরে আসতেই পারেন মাইথন থেকে।
দুর্গাপুর ব্যারেজ (Durgapur Barrage) – দামোদর নদের তীরে গাছের ছায়ায় বসে পিকনিক করতে চাইলে এখানে চলে যেতেই পারেন। কাছেই রয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ। দামোদরের উল্টো তীরে রয়েছে বাঁকুড়া জেলা।
বাকসি (Bakshi) – হাওড়ার বাগনান স্টেশনে নেমে বাসে করে কিছুটা গেলেই পড়বে বাকসি। নদীর ধারে বসে পিকনিক করতে চাইলে এখানে যেতেই পারেন। তবে আগে থেকে যোগাযোগ করে নিলে কোনও সমস্যার সম্ভাবনা থাকবে না।
নিউ দিঘা (New Digha) – হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলগামী ট্রেনে উঠে চন্দনগর স্টেশনে নামবেন। সেখান থেকে অটো করে ১৫ মিনিট গেলেই পড়বে নিউ দিঘা। বাহারি গাছ, নানান ধরণের ফুলে ঘেরা এই জায়গাটি পিকনিক করার জন্য একেবারে পারফেক্ট।
পানিত্রাস (Panitras) – কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই এই পিকনিক স্পটটি। কাছেই রয়েছে রূপনারায়ণ নদী।
আপনি যদি বিশাল মাঠ কিংবা নদীর তীরে বসে পিকনিকের আনন্দ উপভোগ করতে চান, তাহলে পানিত্রাসে চলে যেতেই পারেন। এখানে যেতে চাইলে কোলাঘাটের আগের স্টেশন দেউলটি থেকে অটো কিংবা গাড়ি ধরে যেতে হবে।