বাংলা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি শো হল ‘দিদি নম্বর ১’ (Didi No. 1)। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) সঞ্চালিত এই শোয়ের জনপ্রিয়তা দেখার মতো। আট থেকে আশি- রচনার শোয়ের কথা অনেকের মুখে মুখেই ঘোরে। এই শোয়ের সঞ্চালনা করেই দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছেন টলি সুন্দরী।
বিকেল ৫টা বাজলেই ‘দিদি নম্বর ১’ দেখতে টিভির সামনে বসে পড়েন বাড়ির মা, কাকিমা থেকে শুরু করে বয়ঃজ্যেষ্টরা। প্রত্যেকদিন নানান বয়সের ‘দিদি’রা এসে নিজেদের কাহিনী শোনান এই মঞ্চে। কচিকাচা থেকে শুরু করে মধ্যবয়স্ক হয়ে বয়স্ক মহিলা- রচনার শোয়ে প্রতিযোগী হিসেবে দেখা যায় নানান বয়সের ‘দিদি’দের।
সম্প্রতি যেমন ‘দিদি নম্বর ১’এ খেলতে এসেছিল খুদে খুদে সব প্রতিযোগীরা। সেখানেই একটি মেয়ে ছিল সুচিস্মিতা দে (Suchismita Dey)। পুঁচকে সেই মেয়ের মুখে মিষ্টি মিষ্টি এবং পাকা পাকা কথা শুনে সঞ্চালিকা রচনার হাসি চাপা দায় হয়ে পড়েছিল। খুদে সুচিস্মিতার কথায় সে নাচ পারে না, কিন্তু ডান্স পারে। তাঁর কখনও কখনও পড়াশোনা ভালোলাগে না, আবার কখনও কখনও বেশ ভালোলাগে।
রচনার সঙ্গে কথা বলতে বলতেই সুচিস্মিতা জানায়, সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৯টা অবধি তাঁর পড়াশোনা করার সময়। আর সেই সময়ে নাকি তাঁর মা সামনে লাঠি নিয়ে বসে থাকেন। মায়ের কাছে বেশ বকাও খায় সে। এসব কথা বলতে বলতেই হঠাৎ করেই ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতে শুরু করে সুচিস্মিতা।
রচনা খুদেকে জিজ্ঞস করেছিলেন, ‘তুমি কি চুপচাপ থাকতে ভালোবাসো’? সুচিস্মিতা জবাব দেয়, ‘হ্যাঁ’। এরপর জানায়, বেশি কথা বলতে ভালোলাগে না তাঁর। তাই নাকি স্কুলে একটাও বন্ধু নেই তাঁর। এমন মিষ্টি মেয়ের মুখে একথা শুনে অবাক হয়ে সঞ্চালিকা জিজ্ঞেস করেন, সত্যি সত্যিই একটাও বন্ধু নেই তাঁর? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই ‘মা’ বলে কাঁদতে শুরু করে সে।
View this post on Instagram
পুঁচকে সুচিস্মিতাকে কাঁদতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে এগিয়ে যান রচনা। মাতৃস্নেহে তাঁকে কোলে নিয়ে সম্পূর্ণ সেট ঘুরিয়ে দেখান টলি অভিনেত্রী। এরপর ধীরে ধীরে শান্ত হয় খুদে প্রতিযোগী। ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। খুদে সুচিস্মিতাকে সামলাতে রচনা যেভাবে এগিয়ে আসেন, তা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছে নেটিজেনরা।