জীবনের সুখ-দুঃখ কিংবা প্রেম বিরহ সবেতেই ওষুধের মতো কাজ দেয় অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)-এর গান। এমনিতেই গানই একমাত্র জিনিস যা স্থান-কাল-পাত্র ভেদে এমনকি ভাষার গন্ডিও ভেদ করে এক করে গোটা দুনিয়ার মানুষকে। অরিজিৎ সিংও তাই বাংলা হোক কিংবা হিন্দি নিজের তাঁর সুরের জাদুতে দিনের পর দিন মন্ত্রমুগ্ধ অসংখ্য শ্রোতা।
আজকের দিনে গোটা দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে অরিজিৎ সিং শুধু একটা নাম নয়, একটা গোটা জাতির আবেগ।একেবারে শান্তশিষ্ট স্বভাবের সাদামাটা এই মানুষটির গানের গলার মতই আকর্ষণীয় তাঁর ব্যক্তিত্ব। আজ দেশের অন্যতম সেরা গায়ক (Singer) অরিজিৎ। আর তারপরেও খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেও অহংকার শব্দটা আজ পর্যন্ত ছুঁতে পারেনি তাঁকে, এতটাই সাধারণ তিনি।
ইতিপূর্বে আমরা একাধিকবার দেখেছি অরিজিৎ সিংয়ের সাদামাটা জীবন যাপনের একাধিক উদাহরণ।তা সে মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো নিজের ছেলেকে জিয়াগঞ্জের স্কুলে ভর্তি করাই হোক কিংবা স্ত্রীকে নিয়ে স্কুটিতে চেপে ঘুরতে বেরোনো হোক সবেতেই রয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের সাদামাটা জীবন যাপনের ছাপ।
জিয়াগঞ্জের ছেলে তিনি, তাই ইতিমধ্যেই নিজের এলাকার মানুষদের জন্য তিনি করে ফেলেছেন একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ। তবে সবটাই নীরবে, আর এখনেই আর পাঁচজনের থেকে একেবারে আলাদা। আর তাকে সবার থেকে আলাদা করে তোলার পিছনে বিশেষ অবদান রয়েছে একজনের। তিনি আর কেউ নন গোটা তরুণ প্রজন্মের আদর্শ স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ের এক কনসার্টে অরিজিৎ জানিয়েছেন, তিনি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শ মেনে চলেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন,’আমি বরাবর স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে (Ideology) অনুপ্রাণিত হয়েছি’। এছাড়া এদিনের কনসার্টে অরিজিৎ জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যএকটি স্কুল তৈরি করার লক্ষ্য রয়েছে তাঁর।যার জন্য দরকার ১০০ কোটি টাকার। তবে নিজের লক্ষ্যপূরণের জন্য ভক্তদের কাছে অর্থ সাহায্য নয় বরং ভালোবেসে পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন গায়ক অরিজিৎ।
প্রসঙ্গত এই প্রথম নয় আগেও এমন অনেক সমাজ সেবামূলক কাজ করতে দেখা গিয়েছে অরিজিৎ-কে। যার অন্যতম উদাহরণ জিয়াগঞ্জের খাবার হোটেল। সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই অরিজিৎ সিং-এর এই হোটেলে খাবারের দাম শুরু হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকা থেকে। এছাড়া বেশি দামের খাবারও রয়েছে সেখানে। সব মিলিয়ে সব ধরনের আর্থিক ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের জন্য পেট ভরে খাবার ব্যবস্থা রয়েছেএই হোটেলে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত অরিজিৎ মনে করেন অন্যকে সাহায্য করাই মানবতা।