বাংলা টেলিভিশনের ইতিহাসের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘মিঠাই’ (Mithai)। জি বাংলায় সম্প্রচারিত এই ধারাবাহিকটি একসময় টানা টিআরপি তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করত। কিন্তু এখন ‘মিঠাই’য়ের টিআরপি বেশ খানিকটা কমে গিয়েছে। যদিও নতুন প্লট এবং সেই প্লটে একাধিক টুইস্ট এনে হারানো শীর্ষস্থান দখলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নির্মাতারা।
‘মিঠাই’য়ের নিয়মিত দর্শক যারা তাঁরা জানেন, এই ধারাবাহিকটির প্লটে ভালোরকমের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেই সঙ্গেই আনা হয়েছে বেশ কিছু নতুন চরিত্রও। মিঠাইরানীর মৃত্যুর সঙ্গেই এসেছে মিঠি। অপরদিকে ‘সিধাই’য়ের ছেলে শাক্যও (Shakya) বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। অল্প কয়েকদিন হলেও ইতিমধ্যেই খুদে শাক্য অর্থাৎ খুদে অভিনেতা ধৃতিষ্মান চক্রবর্তীকে (Dhritishman Chakraborty) কিন্তু বেশ ভালোবেসে ফেলেছেন দর্শকরা।
ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছে, মিঠাইরানীর মৃত্যুর পর খুদে শাক্যর দুষ্টুমিতে একেবারে ল্যাজেগোবরে দশা হয়েছে সিদ্ধার্থের। দুষ্টুমি সামলাতে না পেরে ছেলেকে সে বোর্ডিং স্কুলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তখনই হাজির হয় মিঠি। জানিয়ে রাখি, পর্দার শাক্যর সঙ্গে বাস্তবের ধৃতিষ্মানের কিন্তু একটা বিষয়ে মিল রয়েছে।
আর সেই বিষয়টি হল দু’জনেই প্রচণ্ড দুষ্টু। পর্দার শাক্যকে যেমন চুপ করে বসিয়ে রাখা যায় না, তেমনই ধৃতিষ্মানও শ্যুটিং সেটে এক মুহূর্ত চুপ করে বসে না। তাঁকে সামলাতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয়ে যায় সকলের।
পর্দায় শাক্যর বাবা-মা অর্থাৎ আদৃত রায়-সৌমিতৃষা কুণ্ডু থেকে শুরু করে বাকি কলাকুশলী কেউকেই ভয় পান না পুঁচকে ধৃতিষ্মান। তবে ব্যতিক্রম হলেন তাঁর পর্দায় পিসেমশাই রুদ্র (Rudra) অর্থাৎ অভিনেতা ফাহিম মির্জা (Fahim Mirza)। ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের আর কাউকে ভয় না পেলেও রুদ্রর ভয়ে একেবারে কাঁটা হয়ে থাকে ধৃতিষ্মান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ফাহিম নিজে।
বাকি কাউকে ভয় না পেলেও, ফাহিমকে কেন এতটা ভয় পায় পর্দার শাক্য? সেই কারণও খোলসা করে জানিয়েছেন সকলের প্রিয় রুদ্র। আসলে ফাহিমের যে গোঁফ রয়েছে, সেই জন্যই নাকি তাঁকে ভয় পায় শাক্য। সেই সঙ্গেই যদি পুলিশ অফিসারের পোশাক পরে ফাহিম সেটে ঢোকে তাহলে তো ছেড়েই দাও! ভয়ে একেবারে কাঁটা হয়ে যায় দুষ্টু শাক্য।