দেখতে দেখতে দু’সপ্তাহ হয়ে গেল টলিউডের নামী অভিনেত্রী (Tollywood actress) ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma) পরলোক গমন করেছেন। তবে পরিবারের সদস্যরা এখনও সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। প্রেমিকাকে হারানোর যন্ত্রণার সঙ্গে এখনও মানিয়ে নিতে পারেননি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীও (Sabyasachi Chowdhury)। ‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেত্রীর মৃত্যুর পর নিজেকে সব দিক থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি।
ঐন্দ্রিলার পরিবারের সদস্যরা আবার তাঁর নানান স্মৃতির মধ্যেই তাঁকে খুঁজে বেরাচ্ছেন। সম্প্রতি যেমন টিভি৯ বাংলার কাছে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রীর মা-বাবা ফাঁস করেছেন যে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাস নাগাদ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচীর। দুই পরিবারের মধ্যে সেই নিয়ে কথা শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত আর সাত পাক ঘোরা হল না দু’জনের।
‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেত্রীর জীবনের প্রত্যেকটি লড়াইয়ে সব্যসাচী যেভাবে পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন তা সত্যিই কুর্নিশ জানানোর যোগ্য। অনুরাগীরা এই নিখাদ ভালোবাসার জন্যই তাঁদের দিয়েছেন এই যুগের ‘রোমিও জুলিয়েট’ তকমা। ভালোমন্দে যেভাবে ঐন্দ্রিলা-সব্যসাচী একে অপরের সঙ্গে থেকেছে তা মুগ্ধ করেছে প্রত্যেককে।
ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর নিজের কাজ ফেলে তাঁর পাশে ছিলেন সব্যসাচী। তবে জানিয়ে রাখি, শুধু সব্যসাচী নন, ঐন্দ্রিলাও কিন্তু এমনটাই করতেন। সম্প্রতি অভিনেত্রীর মা ফাঁস করেছেন একথা। টলি অভিনেত্রীর মা শিখাদেবী সম্প্রতি জানান, একবার নাকি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সব্যসাচী। সেই খবর শোনামাত্রই নিজের শ্যুট ফেলে তাঁর কাছে ছুটে গিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা।
শুধু তাই নয়, নিজের স্কুটির পিছনে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ অভিনেতাকে বসিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ডাক্তারের কাছে। সব্যসাচীকে ঠিক এতখানি ভালোবাসতেন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীর প্রয়াণের পর তারকাজুটির এই অজানা কাহিনী ফাঁস করেছেন শিখাদেবী।
ঐন্দ্রিলার পরিবারের কথায়, তাঁদের মেয়ে এবং সব্যসাচী ছিলেন একেবারে হরিহর আত্মা। প্রেমিকার জন্যই লেখালেখি শুরু করেছিলেন অভিনেতা। অপরদিকে ঐন্দ্রিলা নিজে বই পড়তে খুব একটা ভালো না বাসলেও সব্যসাচী তাঁকে বই পড়ে না শোনালে রাগ করতেন। আর সেই কারণেই যার কথায়, যার জন্য লেখালেখি শুরু করেছিলেন সব্যসাচী, তিনি চলে যাওয়ার পর আর কলম ধরবেন না বলে ঠিক করেছেন অভিনেতা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর সঙ্গেই থেমেছে সব্যসাচীর কলম।