বলিউডে (Bollywood) এমন অনেক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন যারা নিজেদের চেহারার জন্য প্রচুর কটাক্ষ শুনেছেন। অসীম প্রতিভার অধিকারী হলেও, স্রেফ মোটা কিংবা রোগা বলে নানান কুমন্তব্যের শিকার হয়েছেন। এমনই এক ব্যক্তি হলেন নামী কোরিওগ্রাফার গীতা কাপুর (Geeta Kapur)। যার পরিচিতি ‘গীতা মা’ নামেই বেশি।
এখন যদি বি টাউনের নামী কোরিওগ্রাফারদের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয় তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে নাম থাকবে রাঘব জুয়াল, ধর্মেশ ইয়েলান্ডে, পুনীত পাঠক, সলমন উয়সুফ খানদের। আর এই প্রত্যেক কোরিওগ্রাফারই গীতাকে নিজের মায়ের মতো সম্মান করেন। কারণ এনাদের প্রত্যেকের কেরিয়ারের শুরু যে রিয়্যালিটি শোয়ের হাত ধরে সেখানে বিচারক ছিলেন গীতা।
গীতা বলিউডের অন্যতম অভিজ্ঞ কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে একজন। তাঁর ছন্দে নেচেছেন ইন্ডাস্ট্রির বহু খ্যাতনামা তারকা। রিয়্যালিটি শোয়ের দুনিয়াতেও তিনি পরিচিত মুখ। বহু জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো’য়ে বিচারক হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এখন এত সফল হলেও গীতার যাত্রাটা কিন্তু একেবারেই সহজ ছিল না। অনেক লড়াই-সংগ্রাম করেই আজ সফল হয়েছেন তিনি।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো’য়ে একসময় রেমো ডি সুজা, টেরেন্স লুইস এবং গীতা কাপুরের বিচারক ত্রয়ী ছিল খুবই জনপ্রিয়। দর্শকদের খুব ভালোলাগত তাঁদের একসঙ্গে দেখতে। তবে জানিয়ে রাখি, কেরিয়ারের শুরুর দিকে চেহারার জন্য প্রচুর কটাক্ষ শুনেছেন গীতা। এমনকি তাঁকে ‘মোটা মোষ’ বলতেও দ্বিধা বোধ করেনি লোকে।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’ রিয়্যালিটি শো’য়ে রেমো এবং টেরেন্সের মাঝে বসা নিয়ে গীতাকে প্রচুর কটাক্ষ শুনতে হয়েছে। এমনকি লোকে নাকি তাঁকে ইমেল করেও কটাক্ষ করতেন। ‘গীতা মা’ বলেন, ‘আমার চেহারার জন্য লোকে ইমেলে খারাপ খারাপ কথা লিখে পাঠাত। তাঁরা লিখতেন, রেমো এত বিখ্যাত, টেরেন্সকে এত সুন্দর দেখতে। তাঁদের পাশে আমি কী করছি। অনেকে আবার এও বলতেন আমি মোষের মতো মোটা। এসব কথা শুনে আমার খুবই খারাপ লাগত। মনে হতো দু’জন পুরুষের মাঝখানে বসে আমি কী করছি। আমি হার মানতে বসেছিলাম’।
তবে এত কিছু সত্ত্বেও গীতা কখনও হার মানেননি। তাঁর টিমের সদস্যরা তাঁকে বোঝান, বাইরের মানুষের খারাপ কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যেতে। সেই উপদেশ আজও ভোলেননি গীতা। সমস্ত নেগেটিভিটিকে পিছনে ফেলে আজ বলিউডে রাজত্ব করছেন সকলের প্রিয় ‘গীতা মা’। নিজের নাচের তালে সকলকে নাচাচ্ছেন তিনি।