শীতকালের সুপারহিট খাবারের নাম তৈরি করা হলে শীর্ষে থাকবে চা (Tea) এবং নলেন গুড়ের রসগোল্লার (Nolen Gurer Rosogolla)। আর যদি এই দুই সুপারহিট খাবারই মিশে যায় তাহলে কেমন হয়? শুনে অবাক লাগছে? একেবারেই অবাক হবেন না। কারণ এই শীতেই মার্কেট কাঁপাতে চলে এসেছে নলেন গুড়ের রসগোল্লা চা (Rosogolla Tea)। তাও আবার এই পশ্চিমবঙ্গেরই এক জেলায় বিক্রি হচ্ছে এই বিশেষ চা। আজকের প্রতিবেদনে সেই স্পেশ্যাল চায়ের দোকানের খোঁজ দেওয়া হল।
সাধারণ চা’কে টেক্কা দিতে অনেকদিন ধরেই মার্কেটে চলছে ফিউশন চা। তন্দুরি চা, চকোলেট চা, পোড়া দুধের চা, মালাই চা- লিস্ট গুনে শেষ করা যাবে না। এবার সেই তালিকারই নবতম সংযোজন নলেন গুড়ের রসগোল্লা চা।
হুগলি জেলার চুঁচুড়া শহরের একটি দোকানেই রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে নলেন গুড়ের রসগোল্লা চা। সন্ধ্যা হলেই দোকানের সামনে ভিড় জমায় তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে বয়ঃজ্যেষ্ঠরা প্রত্যেকে। চায়ে একটু করে চুমুক আর তুলতুলে রসগোল্লায় কামড়- যাকে বলে ‘জুটি’ একেবারে সুপারহিট। একবার খেলে স্বাদ লেগে থাকবে বহুদিন।
চুঁচুড়ার কোর্টের ধারের মাঠের পাশেই রয়েছে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। সেখানেই বিক্রি হয় এই নলেন গুড়ের রসগোল্লা চা। দোকানের মালিক এক নামী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হোটেল ম্যানেজমেন্টের ছাত্র ছিলেন তিনি। তবে স্পেশ্যালাইজেশন করেছেন চা নিয়ে।
সংশ্লিষ্ট দোকানের মালিক জানান, ছোট থেকেই এই চায়ের দোকান রয়েছে তাঁদের। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে চা নিয়েই কিছু একটা করবেন। সেই জন্য হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়তে গিয়ে বাকি ছাত্রছাত্রীরা যখন ককটেল-মকটেল নিয়ে স্পেশ্যালাইজেশন করছিলেন, তিনি চা’কে বেছে নেন। এরপরই তৈরি করে ফেলেন নলেন গুড়ের রসগোল্লা চা।
এই নলেন গুড়ের রসগোল্লা চা তৈরি শুরু হয় ভাঁড়গুলিকে পোড়ানোর মাধ্যমে। সেগুলিকে পুড়িয়ে তার মধ্যে চায়ের তন্দুর তৈরি করা হয়। তন্দুর তৈরির জন্য একটি পাত্রের মধ্যে চা নিয়ে এবং সেটির মধ্যে ভাঁড়গুলিকে ডুবোনো হয়। তন্দুর তৈরি হয়ে যাওয়ার পর একটি ভাঁড়ের মধ্যে নলেন গুড়ের রসগোল্লাকে নিয়ে তার মধ্যে চা ঢেলে দেওয়া হয়। আর ব্যাস, তাহলেই তৈরি হয়ে যায় জিভে জল আনা তন্দুর চা।