চারদিকে এখন বিয়ের মরসুম। সোশ্যাল মিডিয়া খোলার যে নেই, একটু স্ক্রোল করলেই ভেসে উঠছে চেনা অচেনা কারও প্রিওয়েডিং, তো কারও আইবুড়ো ভাত আবার কারো বিয়ের ছবি। তবে বিষয়টা শুধু এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেই থেমে নেই। এখন বিয়ের মরশুম চলছে সিরিয়ালের ক্ষেত্রেও। এমনিতে সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের অবসর সময়ে বিনোদনের ক্ষেত্রে সিরিয়ালের জুড়ি মেলা ভার।
দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এখন গোটা সপ্তাহ জুড়ে চলতে থাকে একের পর এক সিরিয়ালের সম্প্রচার। তাই সিরিয়াল ছাড়া এখনকার দিনে এক মুহূর্তে চলে না সিরিয়ালের পোকা দর্শকদের। তবে একথা ঠিক এখনকার দিনে বাংলা হোক কিংবা হিন্দি সব সিরিয়ালের ক্ষেত্রেই শেষ কথা বলে টিআরপি। আর এই বেশি টিআরপি পাওয়ার আশায় বেশিরভাগ সিরিয়ালেই দেখা যায় নানান ধরনের সব আজগুবি গল্প।
যার ফলে হামেশাই গল্পের গরু গাছে ওঠে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে কালারস টিভির (Colors Tv) এমনই একটি নতুন সিরিয়ালের প্রমো (New Promo) যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral) হতে শুরু হয়েছে ব্যাপক হাসাহাসি। আসলে ভাইরাল ওই নতুন প্রমোতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের আসরে নায়িকার হাতে ডিভোর্স পেপার ধরিয়ে দিয়েছে নায়ক। বিয়ের মন্ডপেই বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার এই প্রমো দেখে সোশ্যাল মিডিয়া শুরু হয়েছে ব্যাপক হাসাহাসি।
আসলে প্রকাশে আসা নতুন সিরিয়ালের প্রমোতে দেখা যাচ্ছে শুরুতেই নায়িকা বলছে ছোট থেকেই তার স্বপ্ন গৃহবধূ হয়ে ঘর সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকবে সে।এমনিতে প্রত্যেক মেয়ের জীবনেই বিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। তার জীবনেও সেই বিশেষ দিনটা এসেছিল। এরপরে নায়িকার কথায় কথা অনুযায়ী ঘড়ির কাঁটায় যখন ৯টা বেজে ৭ মিনিট তখন তিনি বরের গলায় মালা দিয়েছিল।
View this post on Instagram
পরে ঘড়ির কাঁটা ১১টা বেজে আট মিনিটে পৌঁছাতেই অগ্নিসাক্ষী করে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তারা। এরপর ১২টা বেজে ৯ মিনিটে তার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন তার স্বামী। আর ১২ টা বেজে ২০ মিনিটেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিয়ের মন্ডপে দাঁড়িয়েই তার স্বামী তার হাতে ধরিয়ে দেয় ডিভোর্স পেপার।
নতুন এই সিরিয়ালের নাম ‘অগ্নিসাক্ষী এক সামঝতা’। যার প্রমো দেখে দর্শকরা বলছেন এটি কানাড়া সিরিয়ালের হিন্দি রিমেক। এই নতুন প্রোমো দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক হাসাহাসি শুরুর আগেই ইতিমধ্যেই নতুন সিরিয়াল নিয়ে নেট পাড়ায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এমন ধরনের আজগুবি প্রমো দেখে কমেন্ট সেকশনে উপচে পড়েছে নানান মজার মন্তব্য। কেউ লিখেছেন ‘ছেলের কুন্ডলিতে মনে দোষ ছিল’। আবার কেউ লিখেছেন ‘ঠিকই আছে লেহেঙ্গাও পড়া হল,ফটোও তোলা হল এবার আগামী দিনে জীবন খারাপ হওয়া থেকে বেঁচে গেল,এবার নিজের বাড়িতেই মজা করে থাকো’।