একটা সময় বলিউডের (Bollywood) ছবি মানেই সেগুলি বক্স অফিসে রাজত্ব করত। খড়কুটোর মতো উড়ে যেত সাউথের সব সিনেমা (South Indian movie)। শুধু তাই নয়, দর্শকদের একাংশ তো আবার দক্ষিণের ছবিগুলি নিয়ে রীতিমতো খিল্লিও করতেন। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। সেই সঙ্গেই পাল্টেছে চিত্রটাও। এখন বক্স অফিসে ঝড় তুলছে সাউথের সব সিনেমা আর সেই ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে যাচ্ছে বলিউডের বেশিরভাগ ছবি।
সাউথের ছবির সঙ্গেই সেই ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের (South Indian celebs) জনপ্রিয়তাও আকাশ ছুঁয়েছে। শাহরুখ খান, সলমন খানদের টেক্কা দেওয়ার মতো জনপ্রিয়তা হয়ে গিয়েছে আল্লু অর্জুন (Allu Arjun), যশ, প্রভাসদের। কোনও না কোনও কারণে ঠিক সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন তাঁরা। সম্প্রতি যেমন ‘পুষ্পা’ তারকা আল্লু অর্জুন, নিজের দারুণ একটি কাজের জন্য চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছেন।
‘পুষ্পা’ খ্যাত আল্লুর আলাদা করে কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। বছরের পর বছর ধরে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে ‘শাসন’ করছেন করছেন তিনি। সাউথের শীর্ষ স্থানীয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন আল্লু। তবে তিনি শুধুমাত্র পর্দারই নয়, বাস্তবেরও হিরো। সম্প্রতি নিজের একটি কাজের মাধ্যমে একথা প্রমাণ করেছেন দক্ষিণী তারকা নিজে।
বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে ‘পুষ্পা’ অভিনেতা আল্লু অর্জুন কয়েকদিন আগে কেরালার এক মুসলিম ছাত্রীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ইয়েছেন। চলতি বছর দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছে সে এবং ৯২ শতাংশ নম্বর অর্জন করেছে সেই মেধাবী ছাত্রী।
কোভিডের অতিমারীর সময় সেই মেয়েটির বাবা প্রয়াত হন। এই অবস্থায় কেউ মেয়েটির পাশে ছিল না। সেকথা জানতে পেরেই, সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর পড়াশোনার সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নেন আল্লু অর্জুন। জানা গিয়েছে, মেয়েটি পড়াশোনা শিখে একজন ভালো নার্স হয়ে সবার সেবা করতে চায়। আর তাঁর এই স্বপ্নপূরণের পথে যাতে অভাব বাধা না হয়ে দাঁড়ায় তাই এগিয়ে এসেছেন আল্লু।
কেরালার আলাপুজা জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ভিআর কৃষ্ণ তেজা নিজে এই কথাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘মেয়েটির চোখে আমরা আত্মবিশ্বাস এবং আশা দেখতে পেয়েছি। এখন সে একটি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে’। পাশাপাশি কৃষ্ণ তেজা আরও জানান, আগামী ৪ বছর মেয়েটির কলেজের ফি এবং হস্টেলের খরচ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আল্লু। ‘পুষ্পা’ অভিনেতার মানবিক দিক দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা।