বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা হলেন মিস জোজো (Miss Jojo)। তাঁর বহু গান এখনও মানুষকে গুনগুন করতে শোনা যায়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে দারুণ গান গাওয়ার পাশাপাশি জোজো কিন্তু খুব মজার মানুষও। পারিপার্শ্বিক যে কোনও বিষয় তো বটেই, নিজের ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়েও মজা করতে ছাড়েন না তিনি। একবার যেমন ‘দিদি নম্বর ১’এর (Didi No. 1) মঞ্চে গিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) সঙ্গে নিজের ওজন নিয়ে মজা করেছিলেন গায়িকা।
জোজো ‘দিদি নম্বর ১’এ গিয়েছিলেন বেশ কয়েক বছর হয়ে গিয়েছে। তবে এখন সেই পর্বের একটু অংশ নতুন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর তা দেখেই হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, রচনাই প্রথমে জোজোর ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তোলেন। এরপর গায়িকার জবাব শুনে হাসি চাপা দায় হয়ে যায় সকলের।
‘দিদি নম্বর ১’ সঞ্চালিকা বলেছিলেন, এখনকার জোজোর সঙ্গে ২০-২২ বছর আগের জোজোর অনেক তফাৎ রয়েছে। একথা শুনেই গায়িকা বলে ওঠেন, তিনি বাড়ি যেতে চান। মঞ্চে তখন হাসির রোল উঠে গিয়েছে। এমনকি জোজো নিজেও হাসছেন। তিনি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হল বিরিয়ানি। আর তিনি সেটি কিছুতেই ছাড়তে পারবেন না।
এরপর মজার সুরে জোজো বলেন, মেদিনীপুর, বহরমপুরে তিনি যখন শো করতে যান তখন অনেক মানুষ তাঁর গান শুনতে আসেন। মঞ্চে যখন তিনি গান করতে ওঠেন, তখন একেবারে সামনের লোকটির তাঁকে মোটা মনে হলেও, একেবারে পিছন সারি থেকে তাঁকে কিন্তু কোয়েল মল্লিকের মতোই দেখায়।
প্রসঙ্গত, ‘দিদি নম্বর ১’এ যখন জোজো গিয়েছিলেন তখন গান এবং অভিনয় মিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ৩৮ বছর পূরণ করে ফেলেছিলেন তিনি। গানের প্রতি ভালোবাসা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় গায়িকা বলেন, তিনি তাঁর বাবার থেকে শুনেছিলেন, বাবা গানের রেওয়াজ করতে বসলে ছোট্ট জোজো হামাগুড়ি দিয়ে তাঁর কোলে বসে ‘সা’ গাইতেন। সেখান থেকেই জোজোর বাবার মনে হয়েছিল, মেয়ে গানের দুনিয়াকেই বেছে নেবে। এরপর দিদার থেকে শুনেছিলেন, বাবা-মা অনুষ্ঠান করতে চলে গেলে তিনি নাকি ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চিরুনিকে মাইক বানিয়ে গান করতেন।
আসল নাম মৌ হলেন, সবার কাছে মিস জোজো নামেই পরিচিত এই নামী গায়িকা। বিয়ে হয়ে সন্তানের মা হয়ে যাওয়ার পরেও ‘মিস’ থেকে ‘মিসেস’ হননি তিনি। ‘দিদি নম্বর ১’এর মঞ্চে গায়িকা জানান, তাঁর সন্তান জন্মের পর তিনি কোনও আয়া রাখেননি। নিজের হাতে করে মেয়েকে বড় করতে চাইতেন তিনি এবং তেমনটাই করেছেন। জোজো মনে করেন, মানসিক দিক থেকে ব্যালান্সড হলে এবং টাইম ম্যানেজমেন্ট জানলে একজন মহিলা ঘরের কাজ সামলে বাইরের কাজও করতে পারেন।