বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বহু অভিনেতা এসেছেন এবং গিয়েছেন, কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন অভিনেতাই দশকের পর দশক ধরে দর্শকদের মনে রাজত্ব করেছেন। নিজের অভিনয় গুণে হয়ে উঠেছেন দর্শকদের ঘরের ছেলে। এমনই একজন অভিনেতা হলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। বা বলা ভালো সবার আদরের এবং ঘরের ছেলে বুম্বা।
টলিউডে (Tollywood) বুম্বাদা (Bumba Da) কেরিয়ার শুরু করেছিলেন একজন শিশু শিল্পী হিসেবে। ঋষিকেশ মুখার্জি পরিচালিত ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’ ছবিতে খুদে শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর ‘দুটি পাতা’ ছবির মাধ্যমে প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনয়। সেই ছবি অবশ্য ফ্লপ হয়েছিল। তবে ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অমর সঙ্গী’ ছবির মাধ্যমে বদলে যায় প্রসেনজিৎ’এর কেরিয়ার। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেতাকে।
গত কয়েক দশক ধরে টলিউডে চুটিয়ে কাজ করেছেন বুম্বাদা। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক সুপারহিট ছবি। একজন তারকাসন্তান হলেও নিজের অভিনয় গুণে ‘স্টারকিড’ তকমা ছেড়ে নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছেন। ৮ থেকে ৮০ সকলের কাছেই এখন তিনি ‘বুম্বাদা’।
দর্শকরা ডাকনাম ধরে ডাকলেও টলি সুপারস্টার কিন্তু তাতে খুশিই হন। বরং সেই জিনিসটিকে ভালোবাসা-আশীর্বাদ হিসেবে দেখেন তিনি। সম্প্রতি ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ ছবির মুক্তির পর সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে একথা বলেছেন সকলের প্রিয় বুম্বাদা নিজে।
প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমি যখন কেরিয়ার শুরু করেছি আমি কখনওই ভাবিনি আমি প্রসেনজিৎ বা বুম্বা হয়ে উঠতে পারব’। এরপরই অভিনেতা বলেন, এটা যেমন একদিকে ‘প্রসেনজিৎ’ ব্র্যান্ড। তেমনই মানুষের ভালোবাসাও। টলিউড ‘ইন্ডাস্ট্রি’র প্রশ্ন করেন, ডাকনাম ধরে মানুষ কখন ডাকে? জবাবে প্রত্যেকে বলে ওঠেন, খুব কাছের মানুষকে ডাকা হয়।
এরপরই ‘আয় খুকু আয়’ অভিনেতা বলেন, ‘তোমরা কেউ আমার প্রসেনজিৎ বা প্রসেনজিৎ দা বলো? বলো না। সবাই বুম্বাদা বলে। আর এই বুম্বাদা হয়ে ওঠাটা আমার কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। আর সত্যি বলছি। কোনও মিডিয়া বা কোনও বাইটের জন্য বলছি না। আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত অবধি যেন পশ্চিম বাংলার মানুষদের কাছে বা বাঙালিদের কাছে বুম্বা হয়ে থাকতে চাই’।