বাংলা টেলিভিশনে এই মুহূর্তে সম্প্রচারিত অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘আলতা ফড়িং’ (Aalta Phoring)। ভিন্ন স্বাদের এই ধারাবাহিকটি শুরু থেকেই দর্শকদের বেশ পছন্দের। মা-মেয়ের গল্প নিয়েই শুরু হয়েছিল এই সিরিয়ালটি। তাই স্বাভাবিকভাবেই নায়িকা ফড়িংয়ের মতোই তাঁর মা রাধারানী নস্করও (Radharani Naskar) দর্শকদের কাছে বেশ পরিচিত।
‘আলতা ফড়িং’য়ের নিয়মিত দর্শকরা জানেন, রাধা কতখানি সংগ্রাম করে তাঁর মেয়েকে বড় করেছেন। বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়লেও সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন, সুখে রাখার চেষ্টা করেছেন। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়েই কখনও বিয়ে করেনি সে। তবে পর্দায় রাধার বিয়ে না হলেও বাস্তবে কিন্তু তিনি মনের মানুষের সঙ্গে সাত পাক ঘুরে ফেললেন।
শীত পড়েছে মানেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের মরসুম। টলিপাড়াতেও বাজছে বিয়ের সানাই। আর এই বিয়ের মরসুমেই দীর্ঘদিনের প্রেমিকের সঙ্গে সাত পাক ঘুরলেন রাধা অর্থাৎ অভিনেত্রী শাঁওলি চট্টোপাধ্যায় (Saoli Chattopadhyay)। তাঁর স্বামীর নাম প্রতীক দত্ত।
শাঁওলি এবং প্রতীকের প্রথম দেখা থিয়েটারের মঞ্চে। সেখান থেকেই শুরু বন্ধুত্ব এবং প্রেম। প্রায় ৯ বছরের পরিচয় দু’জনের। গত বেশ কয়েকবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে সাত পাক ঘুরলেন দু’জনে। আগেই যেমনটা জানা গিয়েছিল যে শাঁওলি-প্রতীকের বিয়েতে প্রয়োজনের থেকে বেশি জাঁকজমক থাকবে না, ঠিক সেই ভাবেই পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হলেন দু’জনে।
গতকাল অর্থাৎ শনিবার দমদমের একটি অনুষ্ঠানবাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের আয়োজন করেছিলেন টলিপাড়ার এই নবদম্পতি। সেখানে উপস্থিত ছিল সম্পূর্ণ ‘আলতা ফড়িং’ টিম। ফড়িং থেকে শুরু করে তাঁর শাশুড়ি, মেজ কাকিমা, অমৃতা, মেজ জা, অভ্র প্রত্যেকে উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
একটি নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে শাঁওলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিয়েতে খুব বেশি আচার-অনুষ্ঠান করিনি। সব কিছুই প্রচণ্ড ঘরোয়াভাবেই হয়েছে। তবে আমাদের ইচ্ছা ছিল খাওয়াদাওয়াটা যেন জমিয়ে হয়। ঠিক তেমনটাই হয়েছে’। অভিনেত্রী এও জানান, বিয়ে সারলেও এখনই মধুচন্দ্রিমায় কোনও প্ল্যান হয়নি তাঁদের। তবে শ্যুটিং থেকে যদি সময় পান তাহলে দু’জনে একটু ঘুরে আসবেন।