গত রবিবার প্রয়াত হয়েছেন টলিউডের নামী অভিনেত্রী (Tollywood actress) ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। দেখতে দেখতে ৪ দিন হয়ে গেল অভিনেত্রী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তবে তাঁকে যারা চিনতেন, তাঁর কাছের মানুষরা এখনও এই ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেনি। ঐন্দ্রিলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের সহ অভিনেতা জয় মুখোপাধ্যায়ের (Joy Mukherjee) নামও সেই তালিকায় রয়েছে।
‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু ঐন্দ্রিলার। সেখানে জয়ের বিপরীতে তাঁর অভিনয় এবং তাঁদের জুটি দর্শকদের বেশ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই একদিন শোনা যায়, শ্যুটিং চলাকালীন দুই তারকার মধ্যে বচসা হয়েছে। জয় নাকি অভিনেত্রীকে গালিগালাজ করেন। এরপর তাঁর হাত ধরে ধাক্কাও মারেন। এই ঘটনার পর রাতারাতি শো থেকে ‘বাদ’ পড়েন জয়।
তবে ঐন্দ্রিলার প্রয়াণের পর অতীতের সব তিক্ততা ভুলে ক্ষমা চেয়ে নিলেন জয়। সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমে এই নিয়ে কলম ধরেছেন অভিনেতা। তিনি জানান, ছোট্ট মিষ্টি একটি মেয়ে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁরা একসঙ্গে বেশ ভালো করে কাজও করতেন। তবে একদিন একটি দৃশ্যে অভিনয়ের সময় তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়। তবে অভিনেতা এখন সেই ঘটনার জন্য নিজেকেই দোষী করেন। অভিনেতার কথায়, ‘ও আমার চেয়ে অনেকটাই ছোট ছিল। আমার বোনের মতো ছিল ও’।
জয় জানান, সেদিন একটি আবেগঘন দৃশ্যের শ্যুটিং হচ্ছিল। তাঁর চোখে গ্লিসারিন দেওয়া ছিল। কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে চিত্রনাট্যে চোখ বোলানোর পরেও দেখে ঐন্দ্রিলা ফোনে কথা বলছেন। তখনই অভিনেতা একটি নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। আজ ঐন্দ্রিলার প্রয়াণের পর জয়ের আফসোস, ‘রাগ করে আমি অমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম। অতটা রিয়্যাক্ট করার প্রয়োজন হয়তো ছিল না’।
‘জিয়ন কাঠি’ অভিনেতার সংযোজন, ‘মনোনিবেশ করতে পারছিলাম না বলে রিয়্যাক্ট করে ফেলেছিলাম। বড় দাদার মতো করেই ওকে বকেছিলাম। এরপর শ্যুটিং সেটেই একটু বেশি কথা কাটাকাটি হয়ে যায়। সেই থেকে শুরু ভুল বোঝাবুঝি। পরে বিষয়টি নিয়ে অনেক ঝলঘোলা হয়েছিল’/ জয় জানিয়েছেন, এই বচসার পর সংশ্লিষ্ট ধারাবাহিক থেকে তিনি সরে আসেন।
ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর সময় কাজের সূত্রে জয় শহরে ছিলেন না। অভিনেতার আক্ষেপ, ‘শেষ দেখা হল না। হয়তো এটাই একটা সুযোগ ছিল ওঁর থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার’। সবশেষে ‘জিয়ন কাঠি’ সহ অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে জয় বলেন, ‘আমার আজীবনের আক্ষেপ রয়ে গেল যে ওঁকে কোনোদিন সরি বলা হল না। এখন তো তারা হয়ে গিয়েছে ও, যদি শুনতে পায় আমায় যেন ক্ষমা করে দেয়। ঝগড়া করার জন্য হলেও ও যেন আমার, আমাদের কাছে ফিরে আসে’।