এই মুহূর্তে বলিউডের সেরা অভিনেতাদের (Bollywood actor) নামের তালিকা যদি প্রস্তুত করা হয় তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে নাম থাকবে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর (Nawazuddin Siddiqui)। তাঁর মতো ভার্সেটাইল অভিনেতা বলিউডে খুব কমই রয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে কেবলমাত্র নিজের প্রতিভার জোরে আজ এত সফল তিনি। কেরিয়ারের শুরুতে বহু ছবিতে সাইড রোলে অভিনয় করেই আজ বি টাউনের শীর্ষস্থানীয় অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়েছেন নওয়াজ।
সম্প্রতি গোয়ায় আয়োজিত ইন্টারন্যাশানাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়ায় ‘অভিনেতা হিসেব সফর’ বিষয়ে নওয়াজকে কিছু কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। সেখানেই নিজের কেরিয়ারের শুরুর স্ট্রাগল নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ খ্যাত অভিনেতা বলেন, ‘সেই সময় পেট চালানোর জন্য আমার কাছে ছোটখাটো যা চরিত্রের অফার আসত, আমি গ্রহণ করে নিতাম। আমার কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। কিন্তু আমি কখনও কষ্ট পাইনি। কঠিন সময়ই মানুষকে শক্ত করে তোলে’।
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ থেকে শুরু করে ‘কাহানি’, ‘পিপলি লাইভ’ থেকে শুরু করে ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’- বলিউডের বহু সুপারহিট ছবিতে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন নওয়াজ। অভিনেতা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি আপনাকে একেবারে শুন্য থেকে শুরু করতে হয়, তাহলে যা যা শিখেছেন প্রথম সেগুলিকে ভুলে যেতে হবে’।
নওয়াজ বলেন, কলেজ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি একটি পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানিতে কেমিস্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। এরপর নিজের অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নপূরণ করার জন্য থিয়েটারে যোগ দেন তিনি। দিল্লির ন্যাশানাল স্কুল অফ ড্রামারও ছাত্র ছিলেন এই নামী অভিনেতা। এরপর কেরিয়ারের শুরুতে বলিউডে বেশ অনেকটা সময় স্ট্রাগল করার পর ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’এর হাত ধরে বদলে যায় অভিনেতার ভাগ্য।
নওয়াজ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত ছিলাম এরপর আমার সব স্ট্রাগল শেষ হবে। এই ছবিটি দেখার পর দর্শকরা প্রশংসা করবেন’। এরপর নেটফ্লিক্সের ‘সেক্রেড গেমস’এ অভিনয়ের পর রাতারাতি বদলে যায় অভিনেতার ভাগ্য। সবশেষে অভিনয়ের প্রতি নিজের ভালোবাসা বোঝাতে গিয়ে নওয়াজ বলেন, ‘অভিনয় আমার শখ এবং আমি এটা করতে করতে কখনও ক্লান্ত হয়ে পড়ি না। অভিনয় আমার সব। এটা আমার জীবন। এক জীবনে অভিনয়ের প্রতি আমার ক্ষিদে মেটানো সম্ভব নয়’।