সিনেমার ঘরানা হিসেবে ক্রাইম-থ্রিলারের সত্যিই কোনও তুলনা হয় না। বহু নামী পরিচালক-অভিনেতা-অভিনেত্রী বলেছেন ঘরানা হিসেবে ক্রাইম-থ্রিলারই সেরা। আর সিনেমাটি যদি সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা! বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসে এমন বহু রমহর্ষক সিনেমা তৈরি হলেও, হাতেগোনা কয়েকটি ছবিই বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আজকের প্রতিবেদনে বলিউডের সেরা ৫ ক্রাইম থ্রিলার ছবির (Best Crime thriller movies) নাম তুলে ধরা হল, যা না দেখে থাকলে কিন্তু বড় মিস।
নো ওয়ান কিলড জেসিকা (No One Killed Jessica) – ২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রানী মুখার্জি এবং বিদ্যা বালান। ১৯৯৯ সালে হওয়া জেসিকা লাল মার্ডার কেসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল এই সিনেমা।
সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর ড্রিঙ্ক দেবেন না বলায় জেসিকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। খুনির ওপর মদের নেশার থেকেও বেশি অহংকারের নেশা ছিল। মন্ত্রীর ছেলে হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে জেসিকা ড্রিঙ্ক দেবেন না বলায় এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
তলওয়ার (Talvar) – ২০০৮ সালে নয়ডায় হওয়া তলওয়ার হত্যাকাণ্ডের কথা এখনও হয়তো অনেকের মনে আছে। বাড়ির মেয়ে এবং চাকরের দেহ একসঙ্গে উদ্ধার হয়েছিল। দেশের রাজধানীর কাছে হওয়া আরুষি তলওয়ার হত্যাকাণ্ডের পর কেঁপে উঠেছিল পুরো দেশ। কীভাবে এই কেসের সমাধান হয়েছিল পরে সেটি নিয়েই ছবি তৈরি করেছিলেন মেঘনা গুলজার। ইরফান খান এবং কঙ্কনা সেন শর্মা পরিচালিত এই ছবিটি দর্শকদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল।
শাহিদ (Shahid) – ২০১০ সালে গুলি করা হত্যা করা হয়েছিল আইনজিবী শাহিদ আজমিকে। আতঙ্কবাদের মিথ্যা দোষ চাপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল। কীভাবে একজন নির্দোষ উকিলকে খুন করা হয়েছিল তাই ফুটে উঠেছিল হনসল মেহতা পরিচালিত এই সিনেমায়। রাজকুমার রাও অভিনীত এই সিনেমাটি না দেখলে কিন্তু বড় মিস।
রুস্তম (Rustom) – ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার এবং ইলিয়ানা ডি ক্রুজ। ১৯৫৯ সালের এক সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল এই ছবি। নৌসেনার এক আধিকারিক কে এম নানাবতীর জীবনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল ‘রুস্তম’।
ম্যায় অউর চার্লস (Main Aur Charles) – অপরাধ জগতের অত্যন্ত পরিচিত নাম হল চার্লস শোভরাজ। তাঁর জীবনের ওপর ভীত্তি করেই পরিচালক প্রবল রমন এই সিনেমাটি তৈরি করেছিলেন।
১৯৮০ সালে চার্লস শোভরাজের করা চুরি এবং হত্যার ওপর ভিত্তি করে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছিল। ছবিতে দেখানো হয়েছিল, কীভাবে তিনি ৭ উচ্চ সুরক্ষার জেল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছিল চার্লস। বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধরে পুলিশের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই কুখ্যাত অপরাধী।