গত সু’সপ্তাহ ধরে টিআরপি তালিকায় বাজিমাত করেছে। লালন-ফুলঝুরি-তিতিরের ত্রিকোণ প্রেম দেখিয়ে পরপর দু’বার বেঙ্গল টপার হয়েছে ‘ধুলোকণা’ (Dhulokona)। এখন আবার চলছে মহাসপ্তাহ। সম্প্রতি লালন (Lalon) এবং ফুলঝুরি বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছে। তিতিরের (Titir) প্রতি লালনের দুর্বলতা মানতে না পেরে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুলঝুরি (Fuljhuri)। সব মিলিয়ে ধুলোকণা’য় এখন একেবারে টানটান উত্তেজনার সব পর্ব চলছে।
লালনের দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলা ফুলঝুরি মেনে নিতে নারাজ। সে চায় তাঁর স্বামী সুখে থাকুক। তাঁর সঙ্গে নাকি তাঁকে ছাড়া তাতে কিছু যায় আসে না! লালনের সুখের জন্য সব কিছু করতে রাজি সে। কিন্তু তাই বলে নিজের আত্মসম্মান বেঁচে লালনের দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলাকে মেনে নিতে রাজি নয় ফুলঝুরি। ধারাবাহিকে ফুলঝুরির এই চরিত্রটি দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী মানালি মনীষা দে।
মানালির অভিনয়ের মাধ্যমেই ফুলঝুরি নেহাত এক ধারাবাহিকের একটি চরিত্র থেকে হয়ে উঠেছেন রক্তমাংসের একজন মানুষ। কিন্তু পর্দায় এখন ফুলঝুরি যে পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন, সেই পরিস্থিতির সামনে যদি মানালিকে পড়তে হতো তাহলে তিনি কী করতেন? স্বামীকে ক্ষমা করে আর একটি সুযোগ দিতেন নাকি তাঁকে ছেড়ে দিতেন? সম্প্রতি টিভি৯ বাংলার তরফ থেকে এই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল অভিনেত্রীর সামনে।
জবাবে পর্দার ফুলঝুরি একবাক্যে বলেন, ‘মানালিও একেবারে তাই করবে। আসলে লালন এখন সুস্থ নয়। ও সব কিছুই অজান্তে করছে। যদি আমার জীবনে এমনটা হয় তাহলে আমি আমার স্বামীকে ছেড়ে দেব না। তাঁর কাউন্সেলিং করাবো। কিন্তু যদি দেখি অসুস্থতা নয়, তাঁর আসলে অন্য কাউকে ভালো লেগেছে তাহলে ফুলঝুরি যা করেছে আমিও সেটাই করব। স্বামীকে ছেড়ে দেব’।
পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারে ‘ধুলোকণা’র সাম্প্রতিক ট্র্যাক নিয়েও মুখ খোলেন মানালি। অভিনেত্রী বলেন, ফুলঝুরি বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারণ লালনের ভালো থাকাটা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাই বলে সে তাঁকে অন্য একজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারবে না। লালনের দু’নৌকোয় পা দিয়ে চলাটা কিছুতেই মানতে পারবে না ফুলঝুরি।
সবশেষে লালনের তিতিরের প্রতি দুর্বলতার কারণ ব্যাখা করে মানালি বলেন, ‘স্মৃতি ফিরে পেলেও লালন এখনও সম্পূর্ণ সুস্থ নয়। ফুলঝুরি এবং পরিবারের কথা মনে থাকলেও তাঁদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো বিলীন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তিতির ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কাটানো সাম্প্রতিক সব মুহূর্ত মনে আছে ওঁর। সেই জন্যই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে এখন ভবিষ্যৎই বলতে পারবে লালন কার হবে, তিতিরের নাকি ফুলঝুরির’!