এই দেশের তো বটেই, সম্পূর্ণ এশিয়ার অন্যতম ধনী ব্যক্তি হলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জীবনযাত্রা যে অনেকটাই ‘হাই ফাই’ হবে তা জানা কথা। মুকেশ পত্নী নীতাকে (Nita Ambani) দেখে সেকথা কিন্তু বেশ ভালোভাবেই বোঝা যায়। সৌন্দর্যের দিক থেকে তিনি যে কোনও বলিউড অভিনেত্রীকে গুনে গুনে দশ গোল দিতে পারবেন। ৫৯ বছরের নীতার কাছে ফেল বহু অষ্টাদশীও!
মুকেশ পত্নী নীতা অল্প বয়সে সুন্দরী তো ছিলেনই। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রূপ যেন আরও খুলছে। নীতাকে দেখে সত্যিই বোঝার উপায় নেই তিনি ঠাকুমা হয়ে গিয়েছেন। তাঁর রূপের দ্যুতির কাছে মাঝেমধ্যে ফিকে মনে হয় মেয়ে ঈশা, ছেলের বৌ শ্লোকাকেও।
৫৯ বছর বয়সেও কী করে এত সুন্দরী নীতা? কীভাবে এখনও নিজের যৌবন ধরে রেখেছেন তিনি? মাঝেমধ্যেই নেটিজেনদের চর্চার কেন্দ্রে চলে আসে এই বিষয়টি। মুকেশ পত্নীর শাড়ি-গয়ানা স্রেফ নয়, তাঁর ব্যবহার করা কসমেটিক্স, পান করা জল, চা নিয়েও চর্চা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে নীতার বিউটি সিক্রেট (Beauty secret) কিন্তু এখনও অনেকেই জানতে পারেননি। আজকের প্রতিবেদনে সেই ছোট্ট ঘরোয়া সিক্রেটই শেয়ার করা হল।
নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে নীতা রোজ যে কাজগুলি করেন তা সাধারণ যে কোনও মানুষ অনুসরণ করতে পারেন। তাঁর সৌন্দর্য দেখে হয়তো অনেকেই ভাবেন কোনও দামি বিদেশি কসমেটিক্স ব্যবহার করে নিজের সৌন্দর্য ধরে রেখেছেন তিনি। তবে বাস্তবে কিন্তু এমনটা নয়, বরং ছোট্ট কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করেই নিজের গ্ল্যামার বজায় রেখেছেন নীতা।
আসলে মুকেশ পত্নী দামি কসমেটিক্স ব্যবহার করে বাহ্যিক সৌন্দর্য বাড়ানো নয়, বরং ভেতর থেকে নিজেকে সুস্থ রাখায় বিশ্বাসী। সেই কারণে রোজ রাত ১০-১১টার মধ্যে শুয়ে পড়েন তিনি। সকালে উঠে পড়েন ৫টার সময়। এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মতো দেরি করে শোওয়া এবং বেলায় ওঠার অভ্যাস তাঁর নেই।
৫টার সময় ঘুম থেকে উঠেই বেশ কিছুক্ষণ যোগাসন করেন নীতা। এরপর প্রাতঃরাশ করেন তিনি। সকালের খাবারে তিনি স্রেফ ফলও ফলের রস খান। তাঁর ডায়েটে কখনও ফাস্টফুড থাকে না। এটিই তাঁর সুস্থ থাকার এবং সৌন্দর্য ধরে রাখার অন্যতম কারণ। পাশাপাশি যত দামি কসমেটিক্সই হোক না কেন, কোনও রাসায়নিকযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন না নীতা। এই ছোট্ট কয়েকটি ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করেই ৫৯ বছরেও নিজের যৌবন ধরে রেখেছেন মুকেশ পত্নী।