জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘মিঠাই’ (Mithai)। সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে এই সিরিয়ালের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই দেখতে দেখতে প্রায় দু বছর হতে চলল দর্শকদের রোজকার জীবনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একেবারে শুরুর দিন থেকেই মোদক পরিবারের প্রত্যেক সদস্যদের সাথে দর্শকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এক আত্মীয়তার সম্পর্ক।
আসলে এই সিরিয়ালের মধ্য দিয়েই দর্শক আরও একবার খুঁজে পেয়েছেন একান্নবর্তী বাঙালি পরিবারের পুরনো ঐতিহ্যের স্বাদ। সদ্য মিঠাইরানির মোদক পরিবারে যোগ হয়েছে আরো এক নতুন সদস্য। মিঠাই সিদ্ধার্থের একরত্তি ছেলে শাক্য (Shakyo)। এই সিরিয়ালের কলাকুশলীদের মতো ইতিমধ্যেই এই জুনিয়র উচ্ছেবাবুর সাথে মায়ায় জড়িয়ে গিয়েছেন সিরিয়ালের দর্শকরাও।
এই সিরিয়ালের যারা নিয়মিত দর্শক তারা সকলেই জানেন শাক্যবাবুকে স্কুলে ভর্তি করার জন্য একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গোটা হল্লাপার্টি। শাক্যর পিসি শ্রী নিজের হাতে করেছে সমস্ত ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় নিজে দায়িত্ব নিয়ে খুঁজে বের করেছে স্কুল। এরইমধ্যে সিরিয়ালে দেখা গিয়েছে স্কুলে ছেলেকে নামি মন্টেসরি স্কুলে ভর্তি করলেও মিঠাই নিজে ভালোভাবে ইংলিশ বলতে জানে না।
তার জন্য ছেলের স্কুলে গিয়ে হেড মিস্ট্রেসের সামনে ইতিমধ্যে অপমানিত হতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে সিরিয়ালের একটি ছোট ভিডিও ক্লিপিংস। সেখানে দেখা যাচ্ছে স্কুল থেকে হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে গিয়েছে শাক্য। তাই এই পরিস্থিতিতে ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে মাথার ঠিক নেই মিঠাই-এর।
কিন্তু এই অবস্থায় সে চাইলেও উচ্ছেবাবু অর্থাৎ সিদ্ধার্থকে ফোন করতে পারছে না। কারণ সে এই মুহূর্তে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং-এর কাজে ব্যস্ত রয়েছে।অন্যদিকে স্কুল থেকে বাচ্চা হারিয়ে যাওয়ার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ উল্টে দোষারোপ করতে শুরু করে মিঠাইকে। তাদের দাবি শাক্য যখন এতটা দুষ্টু তখন মিঠাইয়ের উচিত ছিল তাকে নজরে রাখা।
আর আর স্কুল কর্তৃপক্ষের এমন কান্ডজ্ঞানহীনতা দেখে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি মিঠাই। তাছাড়া হেড ম্যাডাম সমানে অপমান করছিল মিঠাইকে। এসব দেখে মিঠাই বলে দেয় সে ইংরেজি বলতে পারে না তার মানে এই নয় যে সে বাংলাও বুঝবে না। তবে এখন দেখার এই নতুন বিপদের হাত থেকে ছেলে শাক্যকে কিভাবে ফিরিয়ে আনে মিঠাই।