১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (Mr India) ছবিটি এখনও দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছে। শ্রীদেবী এবং অনিল কাপুর অভিনীত সেই সিনেমা বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। সেই সঙ্গেই সে’বছরের দ্বিতীয় সবচেয়ে সফল ছবির তকমাও আদায় করে নিয়েছিল। এই ছবির ‘মোগ্যাম্বো খুশ হুয়া’ সংলাপটি এখনও অনেকের মুখে মুখে ঘোরে।
সেই সময়ে দাঁড়িয়ে দর্শকদের সবচেয়ে ভালোলেগেছিল ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র অন্য রকমের কাহিনী। ছবিতে দেখানো হয়েছিল, একটি ঘড়ি পাওয়ার পর কীভাবে একজন গরিব ভায়োলিনবাদকের জীবন বদলে গিয়েছিল। কারণ এই ঘড়িটি হাতে পরলেই তিনি অদৃশ্য হয়ে যেতে পারতেন। এবার খোদ ছবির প্রযোজক বনি কাপুর (Boney Kapoor) ছবিটি নিয়ে বেশ কিছু অজানা তথ্য সামনে এনেছেন।
সম্প্রতি ‘দ্য কপিল শর্মা শো’য়ে গিয়ে বনি জানান, ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’য় যা যা দেখানো হয়েছে প্রত্যেকটি ক্যামেরায় শ্যুট করা। কোনও ভিএফএক্স ব্যবহার করা হয়নি ছবিতে। সেই জন্যই এই ব্লকবাস্টার ছবিটি তৈরি করে প্রায় ৩৮০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যেখানে এক মাসে একটি সম্পূর্ণ ছবি তৈরি হয়ে যায়, সেখানে ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র ‘কাটে নহি কাটতে’ গানটির শ্যুটিং করতেই প্রায় এক মাস লেগে গিয়েছিল।
বনির কথায়, ‘সেই সময় আমি পোস্ট প্রোডাকশনের বিশেষ এফেক্টের খুব বড় অনুরাগী ছিলাম না। তাই আমি সেটিকে এড়িয়ে চলার চেষ্টাই করতাম। তাই আমাদের প্রায় ৩৮০ দিন লেগেছিল ছবিটির শ্যুটিং সম্পূর্ণ করতে। ‘কাটে নহি কাটতে’র গানটির শ্যুটিংয়ের জন্যই আমাদের ২১ দিন লেগেছিল’।
শ্রীদেবীর স্বামী এও জানান যে, ‘কাটে নহি কাটতে’ গানে প্রথমে শুধুমাত্র শ্রীদেবীর অভিনয় করার কথা ছিল। কিন্তু রেকর্ডিংয়ের পর অনিল কাপুর বলেন তিনিও গানটিতে থাকতে চান। সেই জন্যই বেশ কিছু বদল করে শ্যুটিং করা হয়। পাশাপাশি প্রযোজক এও জানান যে, এই গানের শ্যুটিংয়ের সময়ই ২-৩ দিনের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রীদেবী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জ্বর নিয়ে শ্যুটিং সম্পূর্ণ করেন অভিনেত্রী।
বনি এও জানান, ‘এই গানে প্রথমবার উইন্ড মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল। যাতে শ্রীদেবীর চুল এবং শাড়ি ঠিকভাবে ওড়ে। এই গানে একটুও শ্রীদেবীর শরীর দেখানো হয়নি। কিন্তু গানের কোরিওগ্রাফি এবং সুরের মাধ্যমে লাস্য এবং একটি সম্পূর্ণ প্রজন্মের মনে রাখার মতো গান তৈরি হয়েছিল’।