বাংলা টেলিভিশন জগতের সুন্দরী অভিনেত্রী হলেন নেহা আমনদীপ (Neha Amandeep)। আদতে বাঙালি না হলেও বাংলা সিরিয়ালে তার ঝরঝরে বাংলা শুনে আর দুর্দান্ত অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন অগণিত দর্শক। জি বাংলার স্ত্রী (Stree) সিরিয়ালে টেলি অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের (Neel Bhattcharya) সাথে জুটি বেঁধে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নেহা।
এই ধারাবাহিক শেষ হতে না হতেই সুযোগ আসে নতুন সিরিয়ালে। সান বাংলার কনে বউ (Kone Bou) সিরিয়ালেই শেষবার দেখা গিয়েছে এই অভিনেত্রীকে। টিভির পোর্টদায় কনে বউ শেষ হতেই হঠাৎ করেই নেহার জীবনে ঘটে ছন্দপতন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চেনা-পরিচিত বন্ধুবান্ধব সকলের থেকেই নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অজানা কোন এক কারণে হঠাৎ করেই মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনি।
জীবনের সেই অন্ধকার দিনগুলোর কথা জানাতে আজই জি বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ানের (Didi No 1) মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন নেহা। অতীত জীবনের পাতা উল্টে এদিন নেহা জানান গত দু-বছর ধরে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিলেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায় , ‘ছোট ছিলাম আমি। কিছু কথা শুনে আমি ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিলাম। কেন ছাড়লাম সেটা নিজেও ঠিকভাবে ব্যাখা করতে পারব না’।
বলতে বলতেই চোখে জলে এসে গিয়েছিল নেহার। যদিও পরক্ষনেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলতে শুরু করেন ‘আমার মনে হত আমার মাথার মধ্যে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি কথা বলছে। সে বলত, তুমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষ। তোমাকে বিচ্ছিরি দেখতে, তোমাকে কেউ আপন করে নেবে না। তোমার মরে যাওয়া উচিত। আমার এই সব মনে হত’।
সেসময় নেহার মানসিক অবসাদ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে নিজের ভালোবাসার জায়গা অভিনয় ছেড়ে এক ঝটকার বেরিয়ে এসে সারাক্ষণ নিজেকে একটা ঘরে বন্দি করে রেখে রাখতেন তিনি।অনেক অফার পেয়েও মুখের ওপর না বলে দিয়েছিলেন একসময়। কিন্তু সম্প্রতি দুর্গাপুজোর পরে হঠাৎ করেই তিনি উপলব্ধি করেন তিনি নিজের ভালোবাসার জায়গা অভিনয় জগতে আবার ফিরে আসতে চান। তাই সমস্ত নেগেটিভ চিন্তাভাবনার ঝেড়ে ফেলে আরো একবার নতুন উদ্যমে অভিনয় জগতে ফিরে আসার অপেক্ষায় রয়েছেন অভিনেত্রী।
নেহা এখন মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে ঠাকুরই তাকে বাঁচিয়েছে। সেইসাথে সকলের কাছে অভিনেত্রী অনুরোধ জানিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্যের উপর জোড় দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে নেহার উদ্যেশ্যে আদ্যোপান্ত পজিটিভ রচনা ব্যানার্জী (Rachna Banerjee)-র পরামর্শ ‘তুমি নিজের জীবনে কিন্তু উইনার। তোমাকে ভাবতে হবে আমার জীবনে যে পার্টটা পেরিয়ে এসেছো সেটা আর কেউ পারেনি, তাই তোমাকে ভাবতে হবে ‘আই অ্যাম দ্য বেস্ট’। উল্লেখ্য এদিন দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে খেলতে গিয়ে হাতে ও পায়ে চোট পান নেহা। তাই মাঝপথেই খেলা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে।