বছর দুয়েক আগের কথা। কোভিড (Covid) নামের এক ভয়ঙ্কর ভাইরাসের থাবায় একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল প্রত্যেক মানুষের জীবন। মানুষের রোজনামচার জীবনেও পড়েছিল এর ভয়ঙ্কর প্রভাব। তবে এখন ধীরে ধীরে সেই ভাইরাসের প্রভাব খানিক কমেছে। প্রত্যেকে আস্তে আস্তে নিজেদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন। তবে এই ভাইরাস সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি এমনকি শিল্পীদের জীবনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল।
কোভিডের প্রভাবে সঙ্গীত দুনিয়াও একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাতিল হয়েছিল সঙ্গীত শিল্পীদের একাধিক শো, কনসার্ট। তবে এখন ভাইরাসের প্রভাব খানিক কমায় ফের শুরু হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। আর দুর্গাপুজো থেকে শুরু করে সারা শীতের মরসুম তো শো, কনসার্টেরই সময়।
শুধুমাত্র দেশের নানান জায়গাতেই নয়, বিদেশে গিয়েও শো করে আসেন বহু সঙ্গীতশিল্পী। সেই লিস্টে নাম রয়েছে টলিউডেরও একাধিক খ্যাতনামা তারকাদেরও। তবে শিল্পীদের অন্দরমহল থেকে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে যে কোভিড পরবর্তী সময়ে নাকি তাঁদের পারিশ্রমিকে ভালো রকমের কোপ পড়েছে। সেই কারণে এখন মারণ ভাইরাসের ভীতি কাটিয়ে ফের শো চালু হলেও অনেকেই পাচ্ছেন না উপযুক্ত পারিশ্রমিক।
শুধু এটুকুই নয়, উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে কম টাকাতেই শো করছেন। পেশাগত কারণেই নাকি টাকার অঙ্ক কমলেও মানিয়ে নিচ্ছেন অনেক শিল্পী। সম্প্রতি যেমন একটি নামী সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে টলিউডের দুই নামী সঙ্গীত শিল্পীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে লাইভ কনসার্টের চিত্রটা এখন ঠিক কেমন? সত্যিই কি তাঁদের অনেক কম টাকায় পারফর্ম করতে হচ্ছে?
এই প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty) বলেন, ‘প্রথমত কম টাকায় আমি শো করি না। এখন আগের থেকে শো বেশি হচ্ছে এবং আমি নিজে টাকাও বেশি পাচ্ছি। তাই আমার পারিশ্রমিক যে অনেক কমেছে তা নয়’।
অপরদিকে একই প্রশ্ন রাখা হয়েছিল দিন কয়েক আগে বিদেশ থেকে শো করে ফেরা টলিউডের নামী সঙ্গীতশিল্পী জিৎ গাঙ্গুলীর (Jeet Ganguly) কাছেও। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমেরিকা থেকে শো করে ফিরেছি। এখন মানুষের মধ্যে ভয় অনেকটা কমেছে। তবে এই শো কোভিডের আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তাই কোভিড চলে যাওয়ার পরেও পারিশ্রমিক বাড়িতে দিতে পারিনি। কারণ সেটা উচিত হতো না। আগে থেকে ঠিক করা পারিশ্রমিকেই শো করেছি’।
জিৎ’এর সংযোজন, ‘তবে শিল্পীদের অনেক কম টাকায় শো করতে হচ্ছে এটা ঠিক না। উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাচ্ছেন। তবে কিছু কিছু সময় কোভিডের দোহাই দিয়ে কম টাকা দেওয়ার একটা অসাধু চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই সেই দিকটা শিল্পীদের ভালো করে বোঝা উচিত’।