এতক্ষণে সকলেই জেনে গিয়েছেন টেলি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) ব্রেন স্ট্রোক (Brain Stroke) আক্রান্ত হওয়ার খবর। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আপাতত ভেন্টিলেশনে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন অভিনেত্রী। দু-দুবার ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের সাথে লড়াই করে ফিরে এসেছেন তিনি। তাই ঐন্দ্রিলা শর্মা নামটাই অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণার।
এই মুহূর্তে অভিনেত্রী কোমায় রয়েছেন। সেখানেই হাসপাতালে অভিনেত্রীর কাছে যেতে না পারলেও বাইরে থেকেই তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বাবা দিদি এবং প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রীর চিকিৎসকরাও। অন্যদিকে অভিনেত্রীর মা একাই রয়েছেন টালিগঞ্জের বাড়িতে।
তার মনের মধ্যে দিয়ে এখন বয়ে যাচ্ছে হাজার ঝড় ঝাপ্টা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সাথে কথা বলেছিলেন ঐন্দ্রিলা শর্মার মা (Aindrila Sharma’s Mother) শিখা (Shikha Sharma)। তিনি বলেছেন ‘এখন মেয়েটার ওপর দিয়ে এত ঝড়ঝাপটা যাচ্ছে যে, মা হিসেবে আমি আর মেনে নিতে পারছি না। আমার মন ভেঙে গিয়েছে। ওর মা হিসেবে এত ঝঞ্ঝা আমি সহ্য করতে পারছি না’।
তিনি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা নাকি বলেছেন ঐন্দ্রিলার দেহে কোথাও একটা চোট লেগেছে, যার ফলে ওনার সাথে এমনটা হয়েছে। কিন্তু এ কথা মানতে নারাজ অভিনেত্রীর মা। তার কথায় ‘বিশ্বাস করুন, আমি জানি ওর কোথাও চোট লাগেনি। আর চোট লাগলে ও ঠিক বলত। ও সব কথা আমাকে বলে, কিছুই লুকোয় না। কিন্তু কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল তা আমি জানি না! আমার এখন ঈশ্বরকে ডাকা ছাড়া আর কিছু করার নেই’।
ঠিক কি হয়েছিল ঐন্দ্রিলার সাথে? এপ্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মা জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মধ্যে শরীর খারাপের কোনো চিহ্ন ছিল না। যেদিন শরীর খারাপ হতে শুরু করেছিল সেদিন নাকি অভিনেত্রী প্রথমে তাঁর মাকে বলেছিলেন,’মা, আমার ডান হাত উঠছে না। তার পর দেখা যায় ডান পাটা নড়ছে না। বলতে বলতে ৫-৭ মিনিটের মধ্যে ওর গোটা দেহে পক্ষাঘাত হয়।এরপর শুরু হয় বমি। করতে শুরু করল। তখন আমি দারুণ তখন ভীষণ দুশ্চিন্তার মধ্যেই তিনি ফোন করে ডাকেন ঐন্দ্রিলার প্রেমিক সব্যসাচীকে।
তারপর অভিনেত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই ঢোকানো হয় অপারেশন থিয়েটারে। চিকিৎসকরা তখন অভিনেত্রীর বাড়ির লোকজনদের জানান, ‘‘ওর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি অস্ত্রোপচার করতে হবে’’। ঐন্দ্রিলার মা জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের পর ওকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে তাঁদের বলা হয়েছে ৪৮-৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। তবে আশার খবর এই যে গত কাল রাত ১১টা ৫৫ নাগাদ চোখ খুলেছিলেন ঐন্দ্রিলা, হাতও নাড়িয়েছিলেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিনেত্রীর জ্ঞান ফিরেছে সেটা চিকিৎসকরাই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। অন্যদিকে গত তিন দিন ধরে হাসপাতালেই পড়ে আছে।ঐন্দ্রিলার মায়ের কথায় তাঁর অবস্থা এখন পাগলের মতো হয়ে গিয়েছে।