বলিউডের (Bollywood) সফল কোরিওগ্রাফারদের নামের তালিকা যদি প্রস্তুত করা হয়, তাহলে সেখানে নিঃসন্দেহে নাম থাকবে রেমো ডি’সুজার (Remo D’Souza)। তিনি যে কত সুপারহিট গান কোরিওগ্রাফ করেছেন তা গুনে শেষ করা যাবে না। সেই সঙ্গেই বহু জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনেও দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রেমো এমন একজন ব্যক্তিত্ব যিনি সব সময় নেচে, গেয়ে, আনন্দে থাকেন। এত বড় সেলিব্রিটি হলেও তাঁর মধ্যে নেই কোনও অহংকার। নিজের পুরনো দিনের সংগ্রাম, কষ্ট কিছুই ভুলে যাননি তিনি। এই রেমোর হাত ধরেই উঠে এসেছে রাঘব জুয়াল, ধর্মেশ ইয়েলান্ডে, পুনীত পাঠকের মতো কোরিওগ্রাফাররা।
তবে জানেন কি, এই মুহূর্তে বলিউডের সেরা কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে একজন রেমো একসময় চরম বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। গায়ের রঙের জন্য তাঁকে রেমো বলে নয়, বরং ‘কালু’, ‘কালিয়া’বলে ডাকতেন বেশিরভাগ লোক। সেই সঙ্গেই তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে ঠাট্টা, তামাশা, মস্করা তো চলতই।
একবার স্ত্রী লিজেলের সঙ্গে নিজের একটি মজার ইনস্টাগ্রাম রিলের মাধ্যমেই নিজের জীবনের এই কষ্টের সময়ের কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন রেমো। ‘গুমনাম’ সিনেমার সুপারহিট গান ‘হাম কালে হ্যায় তো ক্যায়া হুয়া দিলওয়ালে হ্যায়’তে রিল বানিয়ে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন রেমো।
সংশ্লিষ্ট রিলের ক্যাপশনে রেমো লিখেছিলেন, ‘ছোটবেলায় আমায় যখন কেউ কালু কিংবা কালিয়া বলে ডাকলে আমার মন খারাপ হয়ে যেত। তখন আমার মা আমায় বলতেন, গায়ের রঙ নয়, মানুষের মনের গুরুত্ব অনেক বেশি। মা তখন আমায় এই গানটিই গেয়ে শোনাতেন। আর আমার মনও ভালো হয়ে যেত। আর আমি এখন লিজেলকে এই গানটি গেয়ে শোনাই’।
View this post on Instagram
একবার রেমো বলেছিলেন, গায়ের রঙের জন্য যখন তাঁকে এত কটাক্ষ শুনতে হতো, তখনই তিনি ঠিক করে নিয়েছিলেন একদিন তিনি নিজেকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে তাঁকে কেউ কোনোরকম কটু কথা বলার সাহস পাবেন না। আজ সত্যিই তিনি সেই স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন। বিলাসবহুল বাড়ি, লাক্সারি গাড়ির মালিক রেমো। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বলিপাড়ার এই নামী কোরিওগ্রাফার এখন প্রায় ৫০ কোটি টাকার মালিক।