ভারতীয় সিনেমার (Indian films) সারা বিশ্ব জুড়ে দর্শক রয়েছে, একথা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। সেই কারণে এদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতারা আরও ভালো ব্যবসা করার জন্য বিদেশেও নিজেদের ছবি রিলিজ করে থাকে। তবে সব সময় কিন্তু ভারতীয় ছবি বিদেশে প্রদর্শিত হওয়ার ছাড়পত্র পায় না। বিভিন্ন কারণে বহু দেশের সেন্সর বোর্ড বেশ কিছু ছবিকে নিষিদ্ধ করে দেয়। আজকের প্রতিবেদনে এমনই ৫ সিনেমার নাম তুলে ধরা হল যেগুলি ভারতে ব্লকবাস্টার হলেও বিদেশে নিষিদ্ধ (Banned)।
দ্য কাশ্মীর ফাইলস (The Kashmir Files) (২০২২)- তালিকার প্রথম নামটিই হল বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত সুপারহিট ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’এর। কাশ্মীর থেকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের বের করে দেওয়া এবং তাঁদের গণহত্যার ওপর ভিত্তি করে এই ছবি তৈরি করা হয়। ভারতের বক্স অফিসে ঝড় তোলা এই ছবিতে ছাড়পত্র দেয়নি সিঙ্গাপুরের সেন্সর বোর্ড। কারণ হিসবে বলা হয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ‘উত্তেজক’ এবং মুসলিমদের নিরপেক্ষ ন্য বরং একপাক্ষিকভাবে দেখানো হয়েছে।
বেল বটম (Bell Bottom) (২০২১)- ১৯৮০ সালে হওয়া বাস্তবের এয়ারলাইন হাইজ্যাকিংয়ের কাহিনী নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল অক্ষয় কুমার অভিনীত এই সিনেমা। তবে সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারে ছবিটি রিলিজ করেছিলেন। ‘ঐতিহাসিক তথ্যের সঙ্গে কাটাছেঁড়া’ করার অভিযোগে এই ৩ দেশে ‘বেল বটম’ রিলিজ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কুরূপ (Kurup) (২০২১)- দুলকির সলমন, শোভিতা ধূলিপালা এবং মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত এই মালায়ালাম মার্ডার থ্রিলারটি দর্শকদের দারুণ পছন্দ হয়েছিল। তবে ছবিটি কুয়েতে ব্যান করে দেওয়া হয়। কারণ এই ছবির একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছিল একজন অপরাধী কুয়েতের পাগলাগারদে আহ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করছে।
পদ্মাবত (Padmaavat) (২০১৮)- দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, শাহিদ কাপুর অভিনীত এই ছবিটি নিয়ে প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। ছবির নাম পরিবর্তন থেকে শিল্পীদের হত্যার হুমকি, ‘পদ্মাবত’ নিয়ে কম ঝামেলা হয়নি। তবে ছবিটি বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। যদিও ‘মুসলিম ধর্মের মানুষদের অনুভূতি’র কথা মাথায় রেখে মালয়েশিয়া ছবিটি ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল।
নীরজা (Neerja) (২০১৬)- সোনম কাপুরের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি এটি। ছবিটিতে অভিনেত্রীর অভিনয় প্রশংসিত তো হয়েই ছিল, সেই সঙ্গেই বহু সম্মানে ভূষিতও হয়েছিল ‘নীরজা’।
যদিও সোনম অভিনীত এই সিনেমা পাকিস্তানে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানকে নেতিবাচকভাবে এই সিনেমায় দেখানো হয়েছে। যদিও বাকি দেশে ভালো ব্যবসা করেছিল এই সিনেমা।