‘ফলের রাজা’ বলে কথা। সেই আমের (Aam) যে প্রচুর ‘অনুরাগী’ থাকবে তা তো জানা কথাই। শীত, গরম হোক বা বর্ষা, আম এমন একটি ফল যার কদর কোনোদিন কমে না। অনেকে তো আবার এই ফল এতটাই ভালোবাসেন যে নিজের বাড়িতেই বসিয়ে ফেলেন আম গাছ। তবে অনেকে আবার আম গাছের সাইজের কথা মাথায় রেখে বাড়িতে বসানোর (Farming) ঝুঁকি নিতে চান না।
যদিও কলমের গাছের সৌজন্যে বড় গাছের সেই ঝক্কি এখন আর পোহাতে হয় না। তবে জানেন গাছ বসানোর একটি বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুব তাড়াতাড়ি আমের ফলন হয়। শুধু তাই নয়, আপনি চাইলে একই গাছে দুই ধরণের আমের ফলনও করতে পারেন। শুধুমাত্র কলমের সাহায্য নিয়েই এই কাজ করতে পারেন আপনি। আজকের প্রতিবেদনে সেই ‘গোপন সিক্রেট’ই শেয়ার করা হল।
আপনি যদি একই আম গাছে দুই ধরণের আম ফলাতে চান, তাহলে আপনাকে নিজের পছন্দসই একটি আম ডালকে গাছ থেকে কেটে নিতে হবে। এরপর সেই ডালের মধ্যে থাকা সকল পাতা এবং বৃন্ত কেটে আলাদা করে দিতে হবে।
এবার সেই আম ডালের মধ্যে কলম তৈরি করতে গ্রাফটিং টেপ দিয়ে ওই ডালের আগা এবং ডগার দিকটা বাদ দিয়ে বাকি সম্পূর্ণ অংশ মুড়ে দিতে হবে। অন্যদিকে আবার টবের মধ্যে অন্য ধরণের একটি আম গাছের চারা বসিয়ে রাখতে হবে।
তবে একই গাছে দুই ধরণের আম ফলাতে গেলে, টবে বসানো গাছের যে কোনও একটি ডাল থেকে বৃন্ত এবং সমস্ত পাতা আলাদা করে ফেলতে হবে। এরপর টবে বসিয়ে রাখা আম গাছের সেই ডালটিকে ছুরি জাতীয় কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাঝ বরাবর একটু চিরে দিতে হবে।
এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, আম গাছের ডাল কাটলে যে আঠা বেরোয় সেটিকে আগে থেকে একটি পাত্রে সংগ্রহ করে রাখতে হবে। এবার আমের কলম তৈরি করতে যে ডালটিকে গ্রাফটিং টেপ দিয়ে মুড়ে রেখেছেন সেটির গোড়ার দিকটা সরু করে কেটে দিতে হবে। এরপর টবে বসানো যে গাছটির ডালটিকে মাঝ বরাবর চিরে রেখেছেন সেটির সঙ্গে এই ডালটিকে জুড়ে দিতে হবে। এরপর টেপের কিংবা দড়ির সাহায্যে দু’টিকে আবার ভালো করে জুড়ে দিতে হবে। এইভাবে যদি কয়েকদিন রেখে দেন, তাহলে দেখবেন সেই ডাল থেকে নতুন পাতা এবং মুকুল জন্মাচ্ছে। আর এভাবেই আপনি একই আম গাছে দু’ধরণের আম ফলাতে পারবেন।