পুজো শেষ হতেই কেউ পাহাড় তো কেউ সমুদ্র পছন্দের জায়গায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছে সবাই। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেইসব মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে কাজে মন বসছে না কারও। তাই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালি সুযোগ পেলে ঘুরতে ভালোবাসেন সবসময়। প্রসঙ্গত পাহাড়প্রেমী যে কোনো মানুযের কাছেই অন্যতম আকর্ষণ হল উত্তরবঙ্গ।
আর এখনকার দিনে দার্জিলিং শুধু নয় দার্জিলিংয়ের আশেপাশেই এমন অনেক অফবিট জায়গা আছে যেখানে একবার গেলেই যেতে মন চাইবে বারবার। দার্জিলিং (Darjeeling) থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে অবস্থিত এমনই একটি অফবিট জায়গা হল লেপচাজগৎ (Lepchajagat)। দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৯ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে লেপচা অধ্যুষিত এই গ্রাম।
পাইনের জঙ্গলে ঘেরা কুয়াশায় ঢাকা এই মায়াবী লেপচাজগৎ-এ গেলে বারবার মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে একটাই কবিতার লাইন ‘তা হল তা হল ‘বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস, এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে’। তাই মাসের পর মাস কাজে ঠাসা ব্যস্ত জীবন থেকে একমুঠো স্বস্তির নিঃশ্বাস পেতে একবার হলেও ঘুরে আসতে পারেন এই মায়াবী লেপচাজগৎ থেকে।
শহুরে কোলাহল আর কংক্রিটে ঘেরা একঘেয়ে জীবন থেকে বেরিয়ে একমুঠো মুক্তির স্বাদ পেতে অন্তত একবার এই সবুজে ঘেরা পাহাড়ি গ্রামে গেলে ফিরে আসতে মন চাইবে না কারও। ওক, পাইন আর রডোডেনড্রনের জঙ্গলে ঝিঁ ঝিঁ ডাকের মধ্যে একবার হারিয়ে যেতে পারলেই যেন নিমেষে দূর হয়ে যাবে মনের সমস্ত চাপা কষ্ট আর ক্লান্তি। তাই এখনকার ব্যস্ত জীবনে যে জিনিসটার বড্ড অভাব সেই একমুঠো শান্তি পেতে গেলে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা হতে চলেছে এই লেপচাজগৎ।
কপাল ভালো থাকলে তো বটেই সেই সাথে যদি মেঘলা ওয়েদার না থাকে তাহলে সাত সকালেই আপনাকে স্বাগত জানাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এখানে সন্ধ্যা নামে ঝুপ করে। তবে রাতের লেপচাজগৎ-ও কিন্তু আরো বেশি মায়াবী। যে কোন উঁচু জায়গা থেকে নিচের দিকে তাকালে দেখা যাবে আলোর মালায় সাজানো স্বপ্নের দার্জিলিং। অন্ধকার থেকে ঝলমলে শহরটার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই সময় কেটে যায় নিমেষের মধ্যে।
তাই অফিস থেকে তিন দিনের ছুটি পেলেও অনায়াসেই ঘুরে আসা যায় দার্জিলিংয়ের লাগোয়া এই ছোট্ট গ্রাম থেকে। পাহাড়ে ঘোড়ার ক্ষেত্রে অনেকে বর্ষার সময়টাকে এড়িয়ে যায়। আবার বৃষ্টির দিনে পাহাড় দেখতে ভালোবাসেন অনেকেই। সেই টানেই তারা বারে বারে ফিরে যান পাহাড়ের কোলে, যদিও এখন মরসুমের কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই বছরের যে কোন সময়েই ঘুরে আসা যেতে পারে পাহাড় থেকে।