রাত পোহালেই কালীপুজো।অনেকের কাছে যদিও দিওয়ালি বা দীপাবলি নামেও পরিচিত। আর দিওয়ালি মানেই আলোর উৎসব। আর বছরকার এই উৎসবের দিনে ঘরবাড়ি আলো দিয়ে সাজানোর পাশাপাশি বাজি (Fire cracker) ফাটিয়ে উদযাপন করে থাকেন অধিকাংশ মানুষ। তাছাড়া বাঙালি বরাবরই উৎসব পাগল। দেখতে গেলে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই আছে।
হরেকরকম বাজি ফাটিয়ে সবাই আনন্দ পান ঠিকই কিন্তু এই উৎসবের দিনগুলোতে শব্দবাজির আওয়াজে নিজেদের একেবারে গুটিয়ে রাখে চার পেয়ে প্রাণীগুলো। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এখানে চারপেয়ে অর্থাৎ কুকুর-বিড়ালদের মত অবলা প্রাণীদের কথাই বলা হচ্ছে। প্রায় প্রতিবছরই দেখা যায় কালীপুজোর দিন কুকুরের (Dog) লেজে কালিপটকা বেঁধে তা ফাটিয়ে এক পাশবিক আনন্দ উপভোগ করে বেশ কিছু মানুষ।
আর এবার কালীপুজোর আগে সেই সমস্ত মানুষদের উদ্দেশ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। অভিনয়ের পাশাপাশি চার পেয়ে এই প্রাণীগুলোকে তিনি যে কতটা ভালোবাসেন সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেকথা এতদিনে কমবেশি সকলেই জেনে গিয়েছেন। এবার তাদের পাশাপাশি রাজ্যের বয়স্ক মানুষদের সমর্থনেও সোশ্যাল মিডিয়ায় সুর চরিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী।
এদিন নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে অভিনেত্রী লিখেছেন ‘এরমধ্যে শব্দ বাজির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষের এবং কুকুর বেড়ালদের কথা ভেবে একটু না হয় উৎসবের রাজ্যে কম উৎসব হোক। মানুষের তুলনায় ওরা অনেক গুণ বেশি শোনে। সবাই বেঁচেবর্তে থাকুক। গতবারের মতো এবারে যদি শোনা যায় কুকুরের লেজে বাজি ফাটানো হয়েছে তাহলে তার খবর আছে। সাবধান করলাম’।
যা থেকে স্পষ্ট চারপেয়েদের প্রতি কোন রকম অন্যায় বরদাস্ত করবেন না অভিনেত্রীর শ্রীলেখা মিত্র। সেইসাথে এদিন নিজের পোস্টে রাজ্যের বয়স্ক মানুষদের প্রতিও নিজের চিন্তা জাহির করতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে।এদিন অভিনেত্রীর এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে দেখা গিয়েছে তার মন্ত্যবের সমর্থনে মুখ খুলেছেন অনেকেই।
এমনই একজন নেটিজেন লিখেছিলেন ‘এই বাৎসরিক অত্যাচার নিয়ে কেউ কিচ্ছু করবে না – এ অরণ্যে রোদন।তবে এবার বাজি পোড়ানো দূরে থাক। প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালাতে পারে কি না দেখ। একটা দিন একটু চাপ হবে – এই আর কি’। প্রসঙ্গত এবছর বাজির ব্যবহার নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে পুলিশকে। সেই কারণেই শব্দবাজি বা পরিবেশ দূষণকারী যে কোনো বাজি কেনা-বেচার উপরেও রয়েছে কড়া পুলিশি নজরদারি।