‘মনের মানুষ’কে হারানোর কষ্ট ঠিক কতখানি তা শুধুমাত্র তাঁরাই জানেন যারা হারিয়েছেন। বলিউডেও (Bollywood) এমন বহু নায়িকা রয়েছেন যারা অল্প বয়সেই নিজেদের কাছের মানুষকে হারানোর যন্ত্রণায় ভুগেছেন। আজকের প্রতিবেদনে বলিপাড়ার এমনই ৬ নায়িকার কথা তুলে ধরা হল যারা অল্প বয়সেই এই যন্ত্রণায় ভুগেছেন।
রেখা (Rekha) : বলিউড অভিনেত্রী রেখা দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ আগরওয়ালের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তিনি আত্মহত্যা করেন। এরপর শোনা যায়, অভিনেতা বিনোদ মেহরার সঙ্গে চুপিচুপি বিয়ে করেছিলেন তিনি, কিন্তু তিনিও অল্প বয়সেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেন।
বিজয়েতা পণ্ডিত (Vijayta Pandit) : ‘অমর সঙ্গী’র নায়িকা বিজয়েতার নামও এই তালিকায় রয়েছে। বলিউডের এই নামী অভিনেত্রী ১৯৯০ সালে ইন্ডাস্ট্রিরই নামী গায়ক এবং গীতিকার আদেশ শ্রীবাস্তবের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন। তাঁদের দুই ছেলেও রয়েছে। ২০১৫ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন আদেশ। এরপর থেকে ছেলেদের নিয়ে একাই জীবন কাটাচ্ছেন বিজয়েতা।
শান্তিপ্রিয়া (Shantipriya) : অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সৌগন্ধ’ ছবির নায়িকার নামও এই তালিকায় রয়েছে। ১৯৯৯ সালে অভিনেতার সিদ্ধার্থ রায়ের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন শান্তিপ্রিয়া। তবে অভিনেত্রীর যখন মাত্র ৩৫ বছর বয়স তখন প্রয়াত হন তাঁর স্বামী সিদ্ধার্থ।
শেহনাজ গিল (Shehnaaz Gill) : ‘বিগ বস’ খ্যাত শেহনাজের নামও এই তালিকায় রয়েছে। তাঁর সঙ্গে অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লার প্রেম ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। কিন্তু গত বছর আচমকা হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সিদ্ধার্থ। শোনা যায়, দু’জনে খুব শীঘ্রই সাত পাকও ঘুরতে চলেছিলেন। ‘কাছের মানুষ’কে হারিয়ে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েছিলেন শেহনাজ। তবে বেশ কয়েক মাস পর সেই ধাক্কা কাটিয়ে ফের কাজের দুনিয়ায় ফিরেছেন অভিনেত্রী।
কেকাসান পটেল (Kaykasshan Patel) : এই নামী অভিনেত্রী ব্যবসায়ী আরিফ পটেলের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন। তাঁদের দুই পুত্রও রয়েছে। তবে ২০১৮ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আচমকাই প্রয়াত হন আরিফ। এরপর থেকে ছেলেদের নিয়ে একাই জীবন কাটাচ্ছেন কেকাসান।
লীনা চন্দ্রভারকার (Leena Chandravarkar) : সুনীল দত্তের ছবি ‘মন কা মিত’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী লীনা চন্দ্রভারকার। তাঁর অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন দর্শকরা। তবে এই অভিনেত্রীরও ব্যক্তিগত জীবন বেশ কষ্টের।
লীনা প্রথমে ১৯৭৫ সালে সিদ্ধার্থ বানোদকরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই গুলি করে হত্যা হয় তাঁর। এরপর অভিনেত্রী ১৯৮০ সালে কিশোর কুমারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। কিন্তু বিয়ের ৭ বছরের মাথায় মারা যান কিশোরবাবুও। লীনার সেই সময় বয়স ছিল মাত্র ৩৭।