‘বিগ বস ওটিটি’ (Bigg Boss OTT) খ্যাত উরফি জাভেদ (Urfi Javed) নিজের বিচিত্র ফ্যাশান সেন্সের কারণে রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে গিয়েছেন। তবে এই ফ্যাশান সেন্সের কারণেই অভিনেত্রীকে শুনতে হয় প্রচুর কটাক্ষ। শরীর দেখানো তাঁর নেশা, অনেকে এমন কথাও বলেন। তবে নেটিজেনরা যে উরফিকে এত খারাপ কথা বলেন তাঁদের বেশিরভাগ মানুষই হয়তো জানেন না তিনি কোন পরিস্থিতিতে বড় হয়েছেন, তাঁর জীবন কতটা কঠিন ছিল। আজকের প্রতিবেদনে উরফির সেই অজানা কাহিনীই (Struggle story) তুলে ধরা হল।
এই মুহূর্তে পরিচিতির শিখরে থাকা উরফিকে বেশিরভাগ মানুষই এখন তাঁর ভাইরাল ছবি, ভিডিওর সৌজন্যে চেনেন। তবে বাড়ি থেকে পালিয়ে বলিউডে উরফির সফল হওয়ার এই লড়াই একেবারেই সহজ ছিল না। ‘বিগ বস ওটিটি’ খ্যাত এই অভিনেত্রী একবার নিজেই জানিয়েছিলেন ছোটবেলায় কীভাবে তাঁর বাবার যৌন লালসার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে।
উরফি জানিয়েছিলেন, তাঁর এই লড়াই একেবারেই সহজ ছিল না। কারণ তিনি তাঁর পরিবারকে পাশে পাননি। মাত্র ১১ বছর বয়সে অভিনেত্রীর ছবি অ্যাডাল্ট সাইটে পোস্ট করা হয়। তাঁর আত্মীয়রা তাঁকে ‘পর্ণস্টার’ বলে ডাকতেও পিছপা হয়নি। এরপরই নিজের বাবার কুকীর্তির কথা ফাঁস করেন অভিনেত্রী।
‘বিগ বস ওটিটি’ সিজন ১’এর প্রতিযোগী বলেন, ‘আমার বাবা টানা ২ বছর আমার ওপর শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন চালিয়েছিল। আমায় মানুষে এত খারাপ নামে ডাকত যে আমি নিজের নামটাই ভুলে যেতে বসেছিলাম’। উরফি বলেন, ‘আমার ওপর যখন আমার বাবা অত্যাচার করত তখন আমার কোনও কথা বলার অধিকারটুকুও ছিল না। আমায় চিরকাল বলা হতো, এই ধরণের মেয়েদের কথা বোলার কোনও অধিকার নেই। সব সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র পুরুষরাই নিতে পারেন’।
বলিউডের এই ‘ফ্যাশানিস্তা’ জানান, একদিন সহ্য না করতে পেরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি। সেই সময় সঙ্গে ছিল তাঁর দুই বোন। উরফির বাড়িতে মা, বাবা এবং আরও ২ ভাই বোন ছিল। অভিনেত্রী জানান, উত্তর প্রদেশ থেকে দিল্লিতে যাওয়ার পর প্রায় ১ সপ্তাহ একটি পার্কেই ছিলেন তাঁরা। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি কল সেন্টারে কাজ পান তিনি। এরপরই ধীরে ধীরে বদলে যেতে থাকে তাঁদের জীবন।
উরফি জানান, এরপর দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে যান তিনি। সেখানে একজন ফ্যাশান ডিজাইনারের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে তাঁর জীবন। উরফি জানান, অভিনয়ের প্রতি তাঁর শুরু থেকেই আগ্রহ ছিল। এরপর ‘তেরি মেরি ফ্যামিলি’ ধারাবাহিকে সুযোগ পাওয়ার পর বদলে যায় তাঁর জীবন।