একসময় বলিউডের সেরা অভিনেত্রীদের (Bollywood Actress) তালিকায় থাকত নার্গিস ফকরির (Nargis Fakhri) নাম। দুর্দান্ত অভিনয় থেকে শুরু করে ঋষি কাপুরের পুত্র রণবীরের সঙ্গে তাঁর প্রেম, সব কিছু নিয়ে সংবাদমাধ্যমে চর্চা লেগেই থাকত। ‘রকস্টার’ ছবিতে দু’জনের রসায়নও নজর কেড়েছিল দর্শকদের।
ইমতিয়াজ আলির ছবিতে নার্গিস এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা হয়তো অনেক নায়িকাই করতে চাইবেন না। প্রশংসা আদায় করেছিলেন দর্শকদের। তবে এখন সেই নার্গিসকেই আর সেভাবে বলিউডে (Bollywood) দেখতে পাওয়া যায় না। এত সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করার পর কেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে গেলেন তিনি?
সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন নার্গিস। সেই সঙ্গেই জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের একাধিক ‘নোংরা’ দিকের কথাও। জানিয়ে রাখি, রণবীরের প্রাক্তনী শুধুমাত্র ‘রকস্টার’ই নয়, এছাড়াও ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’, ‘হাউসফুল ৩’, ‘ম্যায় তেরা হিরো’র মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা আদায় করেছিলেন।
সেই নার্গিসই সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপারিতার সময় নিজের কেরিয়ারের শুরুর দিকের ‘খারাপ’ অভিজ্ঞতা ভাগ করেছেন। বলি সুন্দরী বলেন, ‘আমি জানতাম না একটি নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে কীভাবে মিশতে হয়। আমি নিজের অনুভূতি নিয়ে এতটা সৎ ছিলাম যে আমায় বলা হয়েছিল এটা ভালো জিনিস নয়। কারোর সঙ্গে স্বস্তি বোধ না করলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে হয়। গেম ফেস অন করে রাখতে হয়। আমি সেটা পারতাম না। তাই আমায় অপরিণত বলা হতো’।
এখানেই থামেননি ‘রকস্টার’ অভিনেত্রী। নার্গিস বলেন, বলিউডের মানুষরা ‘দু’মুখো’ নন। তাঁদের ‘বহু মুখ’ রয়েছে। ‘ব্যবসার মুখ’, ‘শৈল্পিক মুখ’ এবং ‘ব্যক্তিগত মুখ’। এভাবেই বলিউডে টিকে থাকা যায়। অতিরিক্ত সৎ হলে যে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা খুব কঠিন তা নার্গিসের কথা থেকেই বুঝে নেওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতা শেষে নার্গিস জানান, টানা ৮ বছর দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন তিনি। এতটাই ব্যস্ত থাকতেন যে পরিবারকেও সময় দিতে পারতেন না। শেষে অসুস্থও হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। নার্গিসের কথায়, তিনি ‘ডিপ্রেশন’এ চলে গিয়েছিলেন এটাও বলা যায়। শেষে টানা ২ বছরের বিরতি নেওয়ার পর ফের সুস্থ হয়ে ওঠেন বলি সুন্দরী।