• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

হিংসায় ভরা টলিউড! Vikram Vedha’য় গান গাওয়া সত্ত্বেও শুভেচ্ছা জানায়নি কেউ, বিস্ফোরক অনন্যা

গত মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছেন ঋত্বিক রোশন, সইফ আলি খান অভিনীত ‘বিক্রম বেধা’ (Vikram Vedha)। এই ছবিরই ‘অ্যালকোহলিয়া’ গানটি গেয়েছেন বাংলার দুই প্রতিভা স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক এবং অনন্যা চক্রবর্তী (Ananya Chakraborty)। এত বছর পর বাংলা থেকে কেউ বলিউডে গান গেয়ে জাতীয় স্তরে উজ্জ্বল করেছেন এই রাজ্যের নাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাকি টলিউড (Tollywood) থেকে একজনও অনন্যা এবং স্নিগ্ধজিৎকে একবারও শুভেচ্ছা জানায়নি।

মুম্বইয়ের একটি নামী প্রযোজনা সংস্থার ব্যানারে গান গাওয়া যে সোজা কথা নয় তা সকলেরই জানা। সেই কাজটি করে বাংলার নাম উজ্জ্বল করলেও টলিউডের গানের দুনিয়ার এক-দু’জন ছাড়া কেউ শুভেচ্ছা বার্তাটুকু অবধি জানায়নি স্নিগ্ধজিৎ এবং অনন্যাকে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্ট করে নিজের যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন অনন্যা।

   

Ananya Chakraborty

‘অ্যালকোহলিয়া’ গায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘আপনি জানেন, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সবচেয়ে হতাশার বিষয় কোনটি? সেদিন স্নিগ্ধ দার সাথেও ফোনে কথা হচ্ছিল। জয় সরকার দা এবং মধুবন্তী বাগচি দি ছাড়া কোনও ‘সিনিয়র আমাদের শুভেচ্ছা জানায়নি। এত বছর পর কলকাতার দু’টো ছেলে মেয়ে  এত বড় প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করল তাও হোয়্যাটসঅ্যাপে একটা মেসেজ বা ফোন করে কেউ ‘খুব ভালো গেয়েছিল’ বলেননি’।

Ananya Chakraborty

এখানেই থামেননি অনন্যা, এরপর অনন্যা লিখেছেন, ‘সারা জীবন আমরা যাদের অনুসরণ করেছি, অনুপ্রাণিত হয়েছি, তাঁদের কিছু যায় আসেই না’। নিজের দীর্ঘ পোস্টের শেষে অনন্যা স্নিগ্ধজিৎকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন তিনি গায়কের কাজে খুবই গর্বিত। সেই সঙ্গে এই বঙ্গতনয়া এও লেখেন যে তিনি নিশ্চিত আগামী দিনে তাঁরা দু’জনেই আরও অনেক বড় তারকাদের গলায় গান গাইবেন।

Ananya Chakraborty facebook post

অনন্যার এই পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় যে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে, একথা বোলার অপেক্ষা রাখে না। গায়িকা পেয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এমনকি বাংলার সঙ্গীত শিল্পীরাও দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। জয় সরকার যেমন বলেছেন, এটা বাঙালি জাতির সমস্যা। সেই সঙ্গেই স্নিগ্ধজিৎ এবং অনন্যাকে এগিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। অপরদিকে মেখলা দাশগুপ্তের মতে, এগুলো স্রেফ ‘ঢাক পেটানো’।

প্রসঙ্গত, বুধবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এই পোস্টটি করেছিলেন অনন্যা। তবে এই মুহূর্তে তাঁর প্রোফাইলে আর সেই পোস্ট দেখা যাচ্ছে না। এখন এই প্রশ্ন জাগছে যে অনন্যাই নিজের পোস্ট মুছে দিয়েছেন নাকি সেটি অন্য কোনও কারণের জন্য মুছে গিয়েছে।

site