বলিউডের (Bollywood) নামী অভিনেতা বিনোদ খান্নার ছেলে অক্ষয় খান্না (Akshaye Khanna) নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে বারবার দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। আদায় করে নিয়েছেন প্রশংসা। ‘হিমালয় পুত্র’ ছবি দিয়ে ডেবিউ করার পর ২ বছরের ব্রেক নিয়ে ২০০১ সালে ‘দিল চাহতা হ্যায়’ দিয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছিলেন তিনি। এরপর আবার ৪ বছরের একটি বিরতি নিয়ে ২০১২ সালে ‘ঢিশুম’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রত্যাবর্তন করেন অক্ষয়।
‘দিল চাহতা হ্যায়’, ‘হাঙ্গামা’ খ্যাত অভিনেতা অক্ষয় এমন একজন ব্যক্তি যিনি লাইমলাইট থেকে চিরকাল দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। নিজের ব্যক্তিগত জীবন সবসময় পর্দার আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি। তবে বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে অবশ্য তিনি নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় ‘দুঃখ’ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা।
অক্ষয়ের অল্প বয়সেই চুল উঠে যাওয়ার (Premature balding) কথা দর্শকরা প্রায় প্রত্যেকেই জানেন। বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা নিজেও। প্রথমে তিনি ‘ক্যাজুয়াল’ ভাবে বলতেন যে চুল উঠে যাওয়ার বিষয়টি তাঁকে খুব বেশি প্রভাবিত করে না। ‘কফি উইথ করণ’এ একবার অক্ষয় বলেছিলেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই ছোট একটা জিনিস’।
যদিও প্রায় এক দশক পরে চুল উঠে যাওয়ার প্রভাব তাঁর ওপর ঠিক কতখানি পড়েছিল তা জানিয়েছিলেন অক্ষয়। একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় এই বিষয়ে অভিনেতা বলেন, ‘খুব অল্প বয়সে আমার সঙ্গে এটা শুরু হয়েছিল। একজন পিয়ানো বাদকের কাছে তাঁর আঙুল চলে যাওয়ার মতো বিষয় ছিল এটি। আমার এমন অনুভূতিই হতো। যতক্ষণ না মেনে নিতে পারছ সেই সময়টায় খারাপ লাগে। আপনি একজন খেলোয়াড় এদিকে বুঝতে পারলেন যে আপনার হাঁটুর সার্জারি প্রয়োজন। তাই এটা খুবই কষ্টের। কেরিয়ারের এক কিংবা দুই বছরও হারাতে পারেন আপনি’।
সংশ্লিষ্ট সাক্ষাৎকারেই অক্ষয় বলেছিলেন, ‘অভিনেতা হিসেবে আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে সেটা খুবই জরুরি। ১৯-২০ বছর বয়সে এটা খুবই কষ্টকর। মানসিকভাবে এটা আপনাকে শেষ করে দিতে পারে। আমার মনে হয় একজন অল্পবয়সী অভিনেতা হিসেবে আমার আত্ম বিশ্বাসের ওপর এটা খুব প্রভাব ফেলেছিল’।
৪৭ বছর বয়সি এই অভিনেতার কাজের দিক থেকে বলা হলে, তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল, ‘হাঙ্গামা ২’ এবং ‘লাভ ইউ হামেশা’ ছবিতে। এরপর অক্ষয়কে দেখা যাবে ‘দৃশ্যম ২’ সিনেমায়। অজয় দেবগণ, তাব্বু, শ্রিয়া শরণ, ঈশিতা দত্তের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে দেখা যাবে তাঁকে।