আজকালকার দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অঙ্গ হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না যেকোন মানুষের। ফেসবুক হোক কিংবা হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিমুহূর্তের আপডেট চাই সকলের।এই সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে ইদানীং ভাইরাল শব্দটির সাথে পরিচিত সকলেই।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন অথচ ‘কাঁচাবাদাম গার্ল’ (Kancha Badam girl) অঞ্জলি অরোরা (Anjali Arora)-কে চেনেন না এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় নেই বললেই চলে। কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকরের সাথে কাঁচা বাদাম গানে নাচ করা থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের লকআপে অংশগ্রহণ করে নজর কেড়েছিলেন তিনি।
পরবর্তীতে এমএমএস ভিডিও ফাঁস কাণ্ডে নাম জড়িয়ে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন অঞ্জলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যামেরার সামনে পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে যৌনতার মেতে ওঠার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সেসময় অভিনেত্রীকে ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এক পক্ষ অঞ্জলিকে কাঠগড়ায় তুলে তার বিরুদ্ধে নানান কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন।
আবার অনেকে অঞ্জলির পাশে দাড়িয়ে নিন্দুকদের এক হাত নিয়েছিলেন। তারা দাবি করেছিলেন ভিডিওটি মোটেই অঞ্জলির নয়। অবশেষে পরিস্থিতি সম্পর্কে মুখ খুলে ছিলেন অঞ্জলি নিজে। নিজের সাফাই গাইতে গিয়ে ক্যামেরার সামনে কেঁদেও ফেলেছিলেন তিনি।অঞ্জলি জানান এই ভিডিও কোন ভাবেই তার নয়।
সেইসাথে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ‘কিছু মানুষ ট্রোল করার জন্য অজুহাত খোঁজে। কিন্তু তারা একবারও ভাবেন না এই ধরনের খবর তারকাদের পরিবারের ওপর কিভাবে প্রভাব ফেলে’। এমএমএস ভিডিওকাণ্ডের জের শেষ হতে না হতেই নতুন করে ট্রেনিংয়ের মুখে পড়লেন অঞ্জলি। সম্প্রতি ‘সাজনা হ্যায় মুঝে সজনাকে লিয়ে’ গানের সঙ্গে একটি রীল ভিডিও বানিয়েছিলেন অঞ্জলি।
View this post on Instagram
কিন্তু সেই ভিডিওতে তার পোশাক দেখে নিন্দুকরা মন্ত্যব্য করেন, তাঁর পোশাক ‘অশ্লীল’,কারণ ওই পোশাকে অঞ্জলির বক্ষ বিভাজিকাস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এই কটাক্ষের জবাব দিয়ে অঞ্জলির দাবি করে, ‘‘এটা আমার শরীর। কেমন পোশাক পরব, সেটা আমিই ঠিক করব।’’ সেই সঙ্গে তিনি নিন্দুকদের একহাত নিয়ে বলেন , ”মানুষের কাজই ট্রোল করা। শাড়ি পরলেও ট্রোল করা হয় । ক্রপ টপ পরলেও যেমন পেট দেখা যায় তেমন শাড়ি পরলেও পেট দেখা যায়। আসলে ওদের ট্রোল করার বাহানা চাই।”