বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতময় জনপ্রিয় সেলিব্রেটি জুটি হলেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar) এবং অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। সম্পর্কে বয়স যে একটা সংখ্যা সেকথা ফের একবার প্রমাণ করেছেন এই জুটি। বয়সের ব্যবধান ঘুচিয়ে বহুদিন ধরেই সম্পর্কে রয়েছেন তারা। বয়সে বড় পরিচালকের সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে অনেকেরই কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
তবে কথায় আছে নিন্দুকদের মুখ কখনও বন্ধ হওয়ার নয়। তাই এখনও মাঝেমধ্যেই কানে আসে এই ধরণের নানান কু-মন্তব্য। তবে বরাবরই এই ধরণের সমালোচনা গায়ে মাখেন না অভিনেত্রী। বরং প্রতিটা দিনই নিজেদের ভালবাসার উদযাপন করে চলেন এই জুটি। সদ্য গিয়েছে শ্রুতির জন্মদিন।ওই একই দিনেই ছিল শ্রুতি এবং স্বর্ণেন্দুর ভালোবাসারও জন্মদিন অর্থাৎ তাদের লাভ অ্যানিভার্সারি।
তাই ওই বিশেষ দিনে হয়েছিল ডাবল সেলিব্রেশন। অভিনেত্রীর অনুরাগীদের মধ্যে এখনও সেই রেশ রয়ে গিয়েছে।সদ্য শেষ হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। প্রত্যেক বছর পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের বাড়িতে মহা ধুমধাম করে আয়োজন করা হয় দুর্গাপুজোর। ব্যস্ততার মধ্যেও সেই পুজোয় সামিল হয়ে থাকেন পরিচালক মশাই। যদিও সম্প্রতি সিটি সিনেমার সাথে সাক্ষাৎকারে স্বর্ণেন্দু এবং শ্রুতি দুজনেই জানিয়েছেন এই পুজোর সমস্ত দায়িত্ব প্রায় একা হাতেই সামলে থাকেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের দিদি।
আর তাকে শেষ সাহায্য করার জন্য বিগত কয়েক বছর ধরে হাজির থাকেন শ্রুতি। প্রসঙ্গত দেশের মাটি শেষ হওয়ার পর থেকে বহুদিন হাতে কোন নতুন কাজ নেই শ্রুতির। ভক্তরাও তাকে টিভির পর্দায় দেখার জন্য একেবারে মুখিয়ে রয়েছেন। এরই মাঝে অষ্টমীর দিন সকালে নেওয়া শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর সাক্ষাৎকারের এক বিরাট বড় সুখবর দিয়েছেন অভিনেত্রী। মুখে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও অভিনেত্রীর কথায় ইঙ্গিত রয়েছে আগামী বছর অথবা তার পরের বছরেই পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সাথে গাঁটছাড়া বাঁধতে চলেছেন তিনি।
আসলে মা দুর্গার কাছে প্রত্যেকেই নিজের মনস্কামনা জানিয়ে থাকেন সকলেই। তেমনই শ্রুতি নাকি এবার মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে দাঁড়িয়ে মুখ ফোসকে বলে ফেলেছিলেন তার খুব ইচ্ছা হয়েছে মাথায় ঘোমটা দিয়ে সিঁদুর পড়ে মায়ের সামনে দাঁড়াবে। তখন তাতে সম্মতি দিয়েই পরিচালক মশাইও জানান বিয়েটা (Marriage) তারা দুজনেই তাড়াতাড়ি করতে চান বাকিটা মা দুর্গা এবং বাবা লোকনাথের উপর নির্ভর করছে। এ কথা শোনার পর থেকেই এই জুটির অনুরাগীদের উচ্ছাস গিয়েছে দ্বিগুণ বেড়ে।