দেখতে দেখতে পুজো এসে গিয়েছে। আজ মহা পঞ্চমী। পুজো মানে শুধু উৎসব নয়, বাঙালির কাছে আবেগের আর এক নাম দুর্গাপুজো। এই পুজোর সাথে জড়িয়ে রয়েছে পুরনো অনেক স্মৃতি, অনেক আবেগ। সেই ছোটবেলায় বাবা মায়ের হাত ধরে পুজো মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখা থেকে শুরু করে বড় হয়ে বন্ধুবান্ধবদের সাথে পাড়ার পুজো মন্ডপে বসে আড্ডা দেওয়া, সবটাই মনে পড়ে যায় এক নিমেষে।
গোটা বাংলার এখন মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। আম জনতা থেকে সেলিব্রেটি সকলেই এখন উৎসবের আনন্দে মশগুল। সারা বছর যে যতই কাজে ব্যস্ত থাকুন না কেন পুজোর এই কটা দিন সমস্ত ব্যস্ততা থেকে একটু হলেও অবসর চাই সকলেরই। ব্যতিক্রম নন জনপ্রিয় ‘মোহর’ (Mohor) অভিনেত্রী সোনামণি সাহা (Sonamoni Saha)-ও। বাংলা টেলিভিশন জগতে সোনামণি সাহার জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই।

মোহর সিরিয়ালের হাত ধরেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার দর্শকদের ঘরে ঘরে। তাই এই সিরিয়াল শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও আজও তার জনপ্রিয়তা কমেনি একফোঁটা। যদি ইদানিং তিনি মোহর নয় বাংলা টেলিভিশনের দর্শকদের কাছে রাধিকা নামেই বেশি পরিচিত। স্টার জলসার লীনা গাঙ্গুলীর লেখা ‘এক্কা দোক্কা’ সিরিয়ালে এই চরিত্রই অভিনয় করছেন তিনি।
পুজোর চারদিন টানা ছুটির আগে এখন শুটিংয়ের কাজে তুমুল ব্যস্ত সোনামণি। আসলে পুজো মানেই নিজের মর্জিমাফিক সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে যান সকলে। ব্যতিক্রম নন সোনামণিও। এমনিতে পুজোর সময় কম বেশি সকলেই বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দেওয়ার প্ল্যানিং করে থাকেন। কিন্তু সোনামণির সেই অবকাশ নেই। সোনামণির কথায় পুজোর চারটে দিন তিনি নিজের সঙ্গে সময় কাটান। তার কারণও রয়েছে। অভিনেত্রী জানিয়েছেন তার নাকি কোন বন্ধু নেই।

গত চার বছর ধরে তিনি নাকি পূজো কাটাচ্ছেন একা একাই। মাঝে মধ্যে গাড়ি নিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কয়েক বছর কাটিয়ে ফেললেও এখনও নাকি তার কোন বন্ধু নেই। তবে শুধু যে ইন্ডাস্ট্রিতে তা নয় সোনামনির নাকি কোথাও কোন বন্ধুই নেই। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে অভিনেত্রী বলেছেন ‘জানিনা কেন কেউ আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চায় না। কোন অনুষ্ঠানেও আমাকে ডাকা হয় না। হয়তো আমারই কোন সমস্যা আছে. কিন্তু আমারও ইচ্ছা করে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে লংড্রাইভে যেতে’।

তবে বন্ধু নেই তো কি হয়েছে পুজোর দিনগুলো নিজের মতো করেই আনন্দ করবেন সোনামণি। আগেই পূজোর কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন তিনি। তাই পুজোয় চুটিয়ে সাজগোজ করার পাশাপাশি দেদার ভুরিভোজ করে কাটাবেন সোনামণি। পুজোর এই চারটে দিন সোনামণি কোন ডায়েট মানেন না,বাইরের খাবার খান তিনি। কখনও বাইরে বেরিয়ে পড়েন আবার কখনো তিনি খাবার বাড়িতে আনিয়ে নেন। এইভাবে নিজের সাথে পুজো কাটাতে ভালোই বাসেন অভিনেত্রী। তাই পুজো একা কাটার জন্য কোন আফসোস নেই সোনামণির মনে।