নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর (Nawazuddin Siddiqui) কেরিয়ারের কয়েকটি সেরা ছবি বেছে নিতে বলা হলে সেখানে অবশ্যই নাম থাকবে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’, ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর ২’, ‘কাহানি’, ‘তলাশ’, ‘বদলাপুর’, ‘রমন রাঘব ২.০’ এবং ‘সেক্রেড গেমস’এর। আর এই প্রত্যেকটি প্রোজেক্টের মধ্যে একটি মিল রয়েছে। তা হল এই প্রত্যেকটি প্রোজেক্টেরই ঘরানা এক।
নওয়াজের কেরিয়ারের সেরা সিনেমাগুলিই কিন্তু ক্রাইম থ্রিলার (Crime thriller) ঘরানার। যদিও নিজের কেরিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন ঘরানার সিনেমায় অভিনয় করে নওয়াজ বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি কোন মাপের অভিনেতা। তবুও যেন অভিনেতার কেরিয়ারের সবচেয়ে সুপারহিট ছবিগুলি কিন্তু ক্রাইম থ্রিলার ঘরানারই।
টানটান উত্তেজনা, দেখতে বসে মেরুদণ্ড দিয়ে একটা ঠাণ্ডা স্রোত বয়ে যাওয়া, নওয়াজের কেরিয়ারের সেরা ছবিগুলি দেখলে বসলে এমন অনুভূতি কিন্তু হবেই। সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় অভিনেতা নিজেও বলেন, ঘরানা হিসেবে তাঁর প্রিয় ক্রাইম থ্রিলারই। তাঁর বরাবরই এই ঘরানার উপন্যাস, সিনেমা প্রচণ্ড পছন্দের।
এই প্রসঙ্গে কথা বলার সময় নওয়াজ বলেন, ‘ষোড়শ শতকে ফিরে গেলে আপনি দেখতে পাবেন ক্রাইম থ্রিলার গল্পগুলি কিন্তু সেরা। পরিচালক অ্যালফ্রেড হিচকক থেকে শুরু করে ঔপন্যাসিক আগাথা ক্রিস্টি তাঁদের প্রত্যেকের কাহিনীগুলিই কিন্তু দুর্দান্ত ছিল’।
‘রমন রাঘব ২.০’, ‘সেক্রেড গেমস’ খ্যাত অভিনেতা বলেন, ‘থ্রিলার এবং ক্রাইম ঘরানার নাটক অতীতেও কিন্তু হিট হতো। এমনকি যদি শেক্সপিয়ারের নাটকেও চোখ বোলাও সেখানে থ্রিলিং একটা উপাদান ছিল এবং দর্শকদের মাথায় গিয়ে অনুভূতি জাগিয়ে তুলত। ম্যাকবেথ এবং ওথেলো কিন্তু দু’টি উদাহরণ’।
সবশেষে নওয়াজ দর্শকদের এই ঘরানা ভালোলাগার কারণ নিয়েও মুখ খোলেন। অভিনেতা বলেন, ‘যখন আমাদের ব্রেন কিছু দেখে এবং অনুভব করে তখন তাতে আগ্রহের সৃষ্টি হয়। যদি আপনি একটি থ্রিলার সিনেমা কিংবা শো দেখেন তাহলে খুনির মানসিকতা সম্বন্ধে জানার একটা আগ্রহ তৈরি হয়। আর ঠিক এই কারণেই আমার মনে হয় থ্রিলার এবং মার্ডার মিস্ট্রি কোনও দিন পুরনো হবে না’।