ইদানিং বলিউডের যেন মা হওয়ার ধুম পড়েছে। কিছুদিন আগেই কোল আলো করে পুত্র সন্তান এসেছে বলিউড অভিনেত্রী সোনাম কাপুরের।এছাড়া খুব শিগগিরই সুখবর দিতে চলেছেন কাপুর পরিবারের পুত্রবধূ আলিয়া ভাট। অন্যদিকে চুটিয়ে প্রেগনেন্সি পিরিয়ড উপভোগ করছেন বঙ্গতনয়া তথা বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বিপাশা বসু (Bipasha Basu)।
সদ্য গিয়েছেন অভিনেত্রী বেবি শাওয়ারের অনুষ্ঠান। এই বিশেষ দিনে ভীষণ খুশি ছিলেন অভিনেত্রী। সেই খুশির ছাপ স্পষ্ট ধরা পড়েছে অভিনেত্রীর চোখে মুখে। গত মাসেই অর্থাৎ ১৬ ই আগস্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এর মধ্যে দিয়ে নিজেদের জীবনের এই সুখবরটি সকলের সাথে ভাগ করা নিয়েছিলেন বিপাশা বসু এবং তার স্বামী করণ সিং গ্রোভার (Karan Singh Grover) দুজনেই।
মা হওয়ার খুশির খবর জানিয়ে ক্যাপশনে একটি দীর্ঘ বার্তা লিখে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন তাদের জীবনে একটা নতুন সময় আসছে। একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হচ্ছে। আগের থেকে তারা পরিপূর্ণ হতে চলেছে। সেই সাথে বিপাশা লিখেছেন তাদের জীবনের পথ চলা শুরু হয়েছিল আলাদা আলাদা ভাবে। সেই থেকে তারা দুজন এক হয়েছিলেন।অভিনেত্রীর মনে হয় তাদের মধ্যে থাকা ভালোবাসা তাদের দুজনের জন্য একটু বেশিই ছিল। আর এবার তাদের সাথে যোগ চলেছে তাদের সন্তান।
আর বেশিদিন দেরি নেই এবার খুব তাড়াতাড়ি মাতৃত্বের স্বাদ উপভোগ করতে চলেছেন বঙ্গতনয়া। তবে অভিনেত্রীর কাছে মা হতে চলার এই জার্নি খুব একটা সহজ ছিল না। কারণ হিসাবে বিপাশা জানিয়েছেন গর্ভবস্থার প্রথম কয়েকটা মাস তাঁর অভিজ্ঞতা মোটেই ভালো ছিল না। অভিনেত্রীর কথায় ‘প্রেগন্যান্সির প্রথম কটা মাস আমার জন্য খুব শক্ত ছিল’।
বিপাশা বলেছেন তিনি লোকের মুখে লোকে মর্নিং সিকনেসের কথাশুনেছিলেন কিন্তু তাঁর নাকি গোটা দিনটাই শরীরখারাপ লাগত। হয় তিনি বিছানায় থাকতেন না হয় বাথরুমে। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছিল সামান্য খাবারও তিনি খেতে পারতেন না। যার ফলে কমে গিয়েছিল শরীরের ওজনও। তবে সময়ের সাথে সাথে নাকি সেই অভিজ্ঞতা কমতে শুরু করে।’
View this post on Instagram
এছাড়াও গর্ভাবস্থার অন্যান্য অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেছেন প্রেগন্যান্সিতে শরীরচর্চা করতে না পারা তাঁর কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ।বিপাশা জানিয়েছেন প্রেগন্যান্সিতে নিজের ডায়েট খুব একটা বদলাননি তিনি। আগের মতোই কার্ব, ফ্যাট, প্রোটিন, লিন মিটস, ফল-সবজি খেয়ে চেষ্টা করচেন নিজেকে আদ্র রাখার। তবে অভিনেত্রীর সংযোজন ‘আমার জন্য কঠিন ছিল শরীরচর্চা বন্ধ করা। কারণ আমাকে শিখতে হয়েছে কীভাবে শুয়ে থাকতে হবে, বিশ্রাম নিতে হবে সবসময়।’