বলিউডের অন্দরের নেপোটিজম (Nepotism) বিতর্ক নিয়ে বরাবরই সরগরম থেকেছেন দর্শকরা। স্টারকিডদের জন্য প্রতিভাবান শিল্পীরা কাজ পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ বহুবার উঠেছে। এমনকি রাজকুমার রাওয়ের মতো নামী অভিনেতা বলেছেন, বলিউডের (Bollywood) অন্দরে চিরকাল নেপোটিজম থাকবেই। সম্প্রতি এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন ইন্ডাস্ট্রির নামী অভিনেতা রাহুল দেব (Rahul Dev)।
বলিপাড়ার হাতেগোনা কয়েকজন অভিনেতাদের মধ্যে একজন হলেন রাহুল, যিনি নিজের কেরিয়ারে নায়ক, খলনায়ক এবং পার্শ্ব চরিত্র- সব ধরণের চরিত্রেই অভিনয় করেছেন এবং সফল হয়েছেন। ৫৩ বছর বয়সেও তিনি ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম ফিট অভিনেতাদের মধ্যে একজন। এখনও হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি তো বটেই রাহুল দক্ষিণ ভারতীয় ইন্ডাস্ট্রিতেও চুটিয়ে কাজ করছেন।
সম্প্রতি একটি নামী সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় বসেছিলেন সেই অভিনেতাই। নিজের কেরিয়ার থেকে শুরু করে বলিউডের সাম্প্রতিক অবস্থা হয়ে নেপোটিজম বিতর্ক- রাহুল মুখ খুলেছেন একাধিক বিষয় নিয়ে। তবে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি নজর কেড়েছে, তা হল ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের নেপোটিজম নিয়ে অভিনেতার মত।
রাহুলকে সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ফিল্মি পরিবার থেকে যে অভিনেতারা ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তাঁদের জন্য কি আপনার সাফল্য কোথাও একটা গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল বলে আপনার মনে হয়? জবাবে একেবারে সোজাসাপ্টা ধরণে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আমার সেটা মনে হয় না। ইন্ডাস্ট্রির ভেতরের মানুষ হলে একটা সুবিধা পাওয়া যায়। কিন্তু ভালোভাবে দেখলে বুঝতে পারবেন, সাফল্যের বড় কাহিনীগুলি কিন্তু বাইরে থেকে আসা মানুষদেরই রয়েছে’।
এখানেই থামেননি ‘শাপিত’, ‘রংবাজ’ খ্যাত অভিনেতা। এরপর অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান-সহ বেশ কয়েকজন ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে আসা সফল অভিনেতার নাম নিয়ে রাহুল বলেন, ‘কিছুটা সময় আগে থেকে বললে অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, বিনোদ খান্না, রাজেশ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহা এবং তিন কিংবদন্তি খান কিংবা অক্ষয় কুমার প্রত্যেকে বাইরে থেকে এসেছিলেন। তাঁদের কিন্তু সবচেয়ে সফল কাহিনী রয়েছে। তাই আমি কোনকিছুই বাঁধাধরাভাবে বলতে পারব না’।
নেপোটিজম বিতর্কে রাহুলের মতের সঙ্গে অনেকেই সহমত পোষণ করেছেন। নেটিজেনদের একাংশের মত, শুধুমাত্র স্টারকিড হলেই হয় না, ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে প্রতিভার প্রয়োজন হয়। সেই প্রতিভা যাদের আছে বলিউডে রাজত্বও কিন্তু তাঁরাই করছেন।