বলিউডের অন্যতম নামী অভিনেতা হলেন ফিরোজ খান (Feroz Khan)। তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৮৩ বছরে পা দিতেন। একজন দুর্দান্ত অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি ফিরোজ ছিলেন একজন দারুণ মানুষও। কয়েক দশক কাঁপানো সেই নায়কের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়েই আজ এক অজানা তথ্য তুলে ধরা হল, যা হয়তো অনেকেই জানেন না।
১৯৩৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে জন্ম হয়েছিল ফিরোজের। তাঁর পিতা ছিলেন আফগানিস্তানি এবং মা ছিলেন ইরানের মেয়ে। অভিনেতার আসল নাম জুলফিকার খান। ১৯৫৭ সালে ‘জমানা’ ছবির মাধ্যমে নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা। প্রসঙ্গত, ফিরোজ এমন একজন অভিনেতা যিনি নিজের কেরিয়ারে ‘সি’ গ্রেড তো বটেই, কোনোদিন ‘বি’ গ্রেড সিনেমাতেও কাজ করেননি।
ষাট, সত্তর এবং আশির দশকে বলিউডে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন ফিরোজ। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক স্মরণীয় সিনেমা। বলিউডের ‘কাউবয়’ হিসেবে পরিচিত সেই ফিরোজই নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কারণে বারবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে চলে এসেছেন। অভিনেতা সুন্দরী খানের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়ার পরেও হিন্দি সিনেমার এক নামী অভিনেত্রীর প্রেমে হাবুডুবু খেতেন।
আর সেই অভিনেত্রী হলেন মুমতাজ (Mumtaz)। অভিনেত্রীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে চাইতেন অভিনেতা। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পরে বেয়াই-বেয়ানের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দু’জনের মধ্যে। ফিরোজ ‘অপরাধ’ সিনেমায় অভিনেত্রী হিসেবে মুমতাজকে কাস্ট করেছিলেন। এরপর বড়পর্দায় একসঙ্গে কাজও করেছিলেন দু’জনে। আর সেই কাজ করতে করতে অভিনেত্রীকে নিজের মন দিয়ে বসেছিলেন ফিরোজ।
তবে ফিরোজ-মুমতাজের কপালে স্বামী-স্ত্রী হওয়া লেখা ছিল না। আর তাই বলি সুন্দরীকে প্রচণ্ড ভালোবাসলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু ভাগ্যের ফেরে বেয়াই-বেয়ানের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল দু’জনের মধ্যে।
২০০৫ সালে মুমতাজের কন্যা নাতাশা মাধবনির সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন ফিরোজের পুত্র তথা অভিনেতা ফরদীন খান। ফরদীন মুমতাজের জামাই এবং ফিরোজ তাঁর বেয়াই হয়ে যান। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা। মৃত্যু কালে ফিরোজের বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।