হিন্দি টেলিভিশনের দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন রতন রাজপুত (Ratan Raajputh)। কাজ করেছেন একাধিক সুপারহিট সিরিয়ালে। এবার সেই অভিনেত্রীই নিজের কেরিয়ারের এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। আর তা দেখেই চোখ কপালে উঠেছে প্রত্যেকের।
‘এক বুড়া আদমি’ নামে একটি ব্লগ লিখে নিজের জীবনের এক ভয়ঙ্কর অধ্যায়ের কথা সামনে এসেছেন রতন। ‘আগলে জনম মোহে বিটিয়া কি জো’ খ্যাত অভিনেত্রী সেই ব্লগে লিখেছেন, কীভাবে তিনি বলিউডে কাস্টিং কাউচের (Casting couch) শিকার হয়েছিলেন। জানিয়েছেন, ৬০-৬৫ বছরের একজন বয়স্ক প্রযোজক তাঁকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ‘কম্প্রোমাইজ’ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
ঘটনাটি ২০০৭ সালের হলেও রতনের এখনও সব কিছু মনে আছে। টিভির দুনিয়ার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী লিখেছেন, সেই বছর এক প্রযোজকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। তিনি ইন্ডাস্ট্রির খুব একটা নামী, পরিচিত মুখ নন। তবে তাঁর বেশ কিছু কাজের সৌজন্যে সবাই তাঁকে চেনেন।
রতনের সঙ্গে তাঁর দেখা হওয়া মাত্রই নাকি তাঁর পিছনে ৪-৫ লাখ টাকা খরচ করতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন সেই প্রযোজক। সেই সঙ্গেই বলেছিলেন, রতনের লুকে বিশাল পরিবর্তন এনে দেবেন। সেই কথা শুনে অভিনেত্রী জানতে চেয়েছিলে, ‘কিন্তু আমি এগুলি কেন করব?’ যার জবাবে সেই প্রযোজক বলেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে আপনাকে বন্ধুত্ব করতে হবে’।
একথা শুনেই ‘আগলে জনম মোহে বিটিয়া কি জো’ অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আপনার বয়স আমার বাবার মতো। আমি আপনার সঙ্গে কীভাবে বন্ধুত্ব করব?’ একথা শুনেই নাকি বেশ চটে গিয়েছিলেন সেই প্রযোজক। জবাবে বলেছিলেন, ‘আমার মেয়ে অভিনেত্রী হলে আমি ওঁর সঙ্গেও শুতাম’। একথা শোনামাত্রই রতন নিজের মেজাজ হারিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
রতন বলেন, কাজের জন্য কোনোদিনই কম্প্রোমাইজ করতে রাজি ছিলেন না তিনি। সম্মানের সঙ্গে বাঁচাই ছিল তাঁর মূল লক্ষ্য। তবে ১৫ বছর পুরনো সেই ঘটনা এখনও অভিনেত্রীকে বেশ রাগিয়ে তোলে। তিনি বলেন, ‘এত খারাপ মানুষ আমি আমার জীবনে দেখিনি। এমন মানুষদের মরে যাওয়া উচিত। আমার এখন মনে হয় আরও একবার ওখানে যাই। ওনার সঙ্গে দেখাও করি। আর নিজের পায়ের জুতো খুলে ওনাকে পেটাই’।