বলিউডের (Bollywood) অন্দরের কেচ্ছাকাহিনী নিয়ে বহুবার মুখ খুলেছেন বহু অভিনেত্রী। শেয়ার করেছেন বহু খারাপ অভিজ্ঞতাও। এবার সেই তালিকাতেই নাম তুললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী শমা সিকন্দর (Shama Sikander)। সম্প্রতি বলিউডের ভেতরের একাধিক বিস্ফোরক কেচ্ছা জনসমক্ষে এনেছেন অভিনেত্রী।
বলিউডে যে ‘কাস্টিং কাউচ’ রয়েছে, তা কারোরই অজানা নয়। বহু নামী অভিনেত্রী নিজেদের ‘কাস্টিং কাউচ’এর অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তবে শমা যে কথা জানিয়েছেন, তা শুনলে গা শিউরে উঠতে বাধ্য। একটা ইন্ডাস্ট্রিতে যে এত পরিমাণ নোংরামি থাকতে পারে, শমার কথা না শুনলে হয়তো বিশ্বাস হবে না।
বলিপাড়ার এই নামী অভিনেত্রী জানিয়েছেন, বলিউডে নাকি একসময় কাজের বদলে শরীর চাওয়াটাই নিয়ম ছিল। হয়তো সেই ধারায় সকলে গা ভাসাতেন না, কিন্তু যারা ক্ষমতার শীর্ষে থাকতেন তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই এই সুযোগটা নিতেন। শমা জানিয়েছেন, কাজের জন্য তিনি নিজেও এই ‘সুযোগ নেওয়া’র শিকার হয়েছিলেন।
অভিনেত্রীর কথায়, সরাসরিভাবে নোংরা প্রস্তাব দেওয়া হতো না। তবে অনেক নামী প্রযোজক তাঁকে ‘বন্ধু’ হওয়ার প্রস্তাব দিতেন। তিনি এমন বহু ‘বন্ধুত্বের প্রস্তাব’ পেয়েছেন। তবে শমা বলেন, এই সকল বন্ধু কিন্তু শুধুমাত্র বন্ধুত্ব হতো না। বরং এই বন্ধুত্বের প্রস্তাবের আড়ালেই লুকিয়ে থাকত যৌন সম্পর্কের এক আহ্বান।
শমা বলেন, ‘কাজের জন্য অনুরোধ করার সময় অনেক প্রযোজক বন্ধুত্বের কথা বলেছেন। আমার প্রশ্ন, যদি একসঙ্গে কাজই না করি, তাহলে বন্ধুত্ব কীভাবে হবে? শরীরের বিনিময়ে কাজ চাওয়ার এই নিয়মটাই আমার বরাবর প্রচণ্ড নোংরা রুচির মনে হয়েছে। যদি কারোর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের খুব অভাব থাকে, তাহলেই সে এমন ধরণের ফাঁদে পা দিতে পারেন’।
বলি অভিনেত্রী বলেন, শরীরের বদলে যে সকল প্রযোজকরা কাজ দেওয়ার কথা বলতেন, তাঁরা প্রত্যেকে ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বড় মাথা। তবে একইসঙ্গে তাঁর মতে, ‘কাস্টিং কাউচ’ শুধুমাত্র বলিপাড়াতেই নয়, সব ইন্ডাস্ট্রিতেই থাকে। বলিউড ঘিরে সকলের এত আগ্রহ বলেই এই বিষয়ে সবাই জানতে পারেন। তবে শমা, নতুন বলিউড নিয়ে আশাবাদী। তাঁর মতে, এখনকার কমবয়সি প্রযোজক, পরিচালকরা এই ‘বিনিময় প্রথা’য় বিশ্বাসী নন। বরং তাঁরা শিল্পীদের অনেক বেশি সম্মান করেন।