বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘বাদশা’ তিনি, বিগত তিন দশক ধরে বলিপাড়ায় রাজত্ব করছেন। হ্যাঁ একদম ঠিকই ধরেছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) এর কথাই বলছি। আজ যে অর্থ, খ্যাতি, যশ রয়েছে তাঁর, সবটাই নিজের অর্জন করা। নন-ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই শাহরুখের সহজ ছিল না। ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক ঝড়ঝাপ্টার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি।
শাহরুখের যখন মাত্র ১৫ বছর বয়স সেই সময় নিজের পিতাকে হারিয়েছিলেন তিনি। ২৬ বছর বয়সে হারান মা’কে। অভিনেতা একবার নিজেই একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, উনি নিজের মায়ের খুব কাছের ছিলেন। তাই যখন তাঁর মা প্রয়াত হন, তিনি তাঁর কাছে যাচ্ছিলেন না। পাশাপাশি মৃত্যুশয্যায় থাকাকালীন তিনি নিজের মাকে প্রচুর খারাপ কথা বলেছিলেন।
‘কিং খান’ বলেন, ‘আমার মা আইসিইউ’তে ভর্তি ছিলেন। আমার মনে হয়েছিল, আমি যদি ওনাকে জ্বালাতন করি, তাহলে আমায় ছেড়ে যাবেন না। সেই কারণে আমি আমার মা’কে বলেছিলাম, আমি দিদিকে খুব জ্বালাব। কখনও ওঁর বিয়ে হতে দেব না। টাকা উপার্জন করব না। এত মদ খাব যে একদিন মাতাল হয়ে যাব’।
সেই একই সাক্ষাৎকারে শাহরুখ আক্ষেপ করে এও বলেছিলেন যে, আজ তিনি যে সাফল্য পেয়েছেন, সবটুকুই তাঁর মায়ের জন্য। তবে তাঁর মা’ই এসব কিছু দেখে যেতে পারেননি। অভিনেতার কথায়, ‘মা আমার সফলতা দেখে যেতে পারেনি। আমায় আমার প্রথম পুরস্কার নিতে দেখতে পারেনি। তবে আমি আজ যা হয়েছি, সব মায়ের জন্য’।
শুধু মা’কে হারানোরই নয়, বাবাকে হারানোর কষ্ট আজও শাহরুখকে কুরে কুরে খায়। অভিনেতা সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ’১৮ অক্টোবরের রাত ছিল। মা এসে আমায় ঘুম থেকে তুলে বলেছিল, বাবা হাসপাতালে ভর্তি। আমি শুধু ওনার ঠাণ্ডা পা দেখেছিলেন। আমার এত কষ্ট হচ্ছিল যে ওনার মুখ দেখনি। বাবার সঙ্গে আমার শেষ মুহূর্ত ভ্যানিলা আইসক্রিম খাওয়ার ছিল’।
শাহরুখের আগামী প্রোজেক্টের নিরিখে বলা হলে, অভিনেতার হাতে এখন ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং রাজকুমার হিরানির ‘ডানকি’ রয়েছে। দীর্ঘ চার বছর পর বড় পর্দায় ফের কামব্যাক করতে চলেছেন তিনি। ‘কিং খান’কে শেষবারের মতো ‘জিরো’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল।