স্টারকিড মানেই তাঁর কাছে পৃথিবীর সব সুখ, সুযোগ-সুবিধা থাকবে, অনুরাগীদের অনেকের মনেই এমন একটি ধারণা রয়েছে। কিন্তু সেই ধারণা একেবারেই সম্পূর্ণ সত্যি নয়। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক রাকেশ রোশন (Rakesh Roshan)। এক সাক্ষাৎকারে ছেলে ঋত্বিক (Hrithik Roshan) সম্বন্ধে এক সম্পূর্ণ অজানা দিক প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।
বিগত মঙ্গলবার, ৬ই সেপ্টেম্বর ছিল রাকেশ রোশনের জন্মদিন। সেই দিনই ছেলের সম্পর্কে নানান স্মৃতি উঠে এসেছে বলিউডের এই অভিনেতা তথা পরিচালকের কথায়। রাকেশ রোশন বলিপাড়ার অন্যতম নামী পরিচালকদের মধ্যে একজন। নাম, যশ, অর্থ, খ্যাতি সবই রয়েছে তাঁর। কিন্তু তা সত্ত্বেও, তা ছেলে হয়ে ঋত্বিক অভিনেতা হওয়ার আগে অবধি বাড়ির গাড়িতে চড়তে পারেননি!
রুপোলি পর্দায় অভিনেতা হিসেবে ডেবিউ হওয়ার আগে বাবার সঙ্গে বেশ কিছু ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছিলেন ঋত্বিক। সেই সময় কড়া অনুশাসনের মধ্যে তাঁকে রেখেছিলেন বাবা। কোনোভাবে পরিচালকের ছেলে হওয়ার বাড়তি সুবিধা যাতে সে না পায়, সেদিকে ছিল তাঁর কড়া নজর।
পরিচালক জানান, ‘কলেজের পড়াশোনা সম্পূর্ণ করার পর ঋত্বিক স্পেশ্যাল এফেক্টস শেখার জন্য বিদেশে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ও এখানে (মুম্বই) ‘করণ অর্জুন’ ছবিতে আমার সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিল। আমি ওঁর প্রতি খুবই কঠোর ছিলাম। আমার গাড়িতে ওঁকে উঠতে দিতাম না। অন্য সহকারী পরিচালকরা যেভাবে সেটে থাকতেন, ওঁকেও সেভাবেই থাকতে দিতাম। বাড়ির গাড়িতে ওঠার অনুমতিও দিতাম না। বাস, অটো করে যাতায়াত কোর্ট ও। সেটে ও আমার ছেলে ছিল না, সহকারী পরিচালক ছিল। তাই আমি কোনও বাড়তি সুবিধা ওঁকে দিইনি’।
শাহরুখ-সলমন অভিনীত ‘করণ অর্জুন’ ছাড়াও ঋত্বিকের রাকেশের সঙ্গে ‘কোয়লা’, ‘খেল’এর মতো ছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর রাকেশের পরিচালনায় ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’র হাত ধরেই বলিউডে অভিনেতা হিসেবে ডেবিউ করেন ঋত্বিক।
বলিউডের ‘গ্রিক গড’এর প্রথম ছবিই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল। রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে যান রাকেশের ছেলে। ছেলের তারিফ করে তিনি বলেন, ‘ও খুব কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমি অভিনেতা হিসেবে ব্যর্থ হয়েছিলাম। কিন্তু সব বাবার মতোই আমিও চেয়েছিলাম, আমার ছেলের স্বপ্নপূরণ হোক। ঋত্বিক যা করতে পেরেছে আমি তা করতে পারিনি। ও সুপারস্টার। ও আমায় গর্বিত করেছে’।