প্রত্যেক শুক্রবার একটি করে ছবি রিলিজ হয়। সেই সঙ্গেই নির্ধারিত হয় প্রত্যেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর ভাগ্য। ছবি সফল হলে শিল্পীদের জনপ্রিয়তা থেকে শুরু করে পারিশ্রমিক (Fees)- সব কিছু বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ছবি ফ্লপ হলেই বদলে যায় সব কিছু। ঠিক যেমনটা হয়েছে বলিউড তারকা টাইগার শ্রফের (Tiger Shroff) সঙ্গে।
করোনা অতিমারীর আগে ধীরে ধীরে টাইগারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছিল। অভিনেতার শেষ সিনেমা ‘ওয়ার’ও বক্স অফিসে সফল হয়েছিল। কিন্তু করোনা অতিমারীর পরই বদলে গিয়েছে সেই চিত্র। চরম ফ্লপ হয়েছে টাইগারের শেষ সিনেমা ‘হিরোপন্তি ২’। আর ব্যাস, তাতেই প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছেন অভিনেতা।
সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, টাইগারের শেষ ছবি ‘হিরোপন্তি ২’ ফ্লপ হওয়ার পর টাইগারের আগামী ছবির নির্মাতারা অভিনেতার পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। শোনা যাচ্ছে, এক ধাক্কায় অভিনেতার ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
‘হিরোপন্তি ২’ ফ্লপ হওয়ার পর টাইগারের হাতে যে খুব বেশি প্রোজেক্ট রয়েছে তা নয়। অভিনেতার হাতে এখন মাত্র তিনটি প্রোজেক্ট রয়েছে। সেগুলি হল ‘গণপত’, ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’ এবং ‘স্ক্রু ঢিলা’। এর মধ্যে ‘বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ’র ক্ষেত্রে টাইগারের পারিশ্রমিক কমিয়ে দেওয়ার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। এবার জানা যাচ্ছে, বাকি দুই ছবির ক্ষেত্রেও একই জিনিস হতে চলেছে।
শোনা গিয়েছে, ‘গণপত’ এবং ‘বড়ে মিয়াঁ এবং ছোটে মিয়াঁ’র জন্য যথাক্রমে ৩৫ এবং ৪৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। অপরদিকে ‘স্ক্রু ঢিলা’র জন্য ৩৫ কোটি টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু এবার ছবির নির্মাতারা এত টাকা পারিশ্রমিক দিয়ে ছবি ফ্লপ হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। সেই কারণে শোনা যাচ্ছে, টাইগারের পারিশ্রমিক কমিয়ে নির্মাতারা তাঁকে ১৭ থেকে ২০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছেন।
শুধু হাতে থাকা প্রোজেক্টই নয়, আগামী প্রোজেক্টের জন্যেও ছবির নির্মাতারা টাইগারকে ১৭ থেকে ২০ কোটি টাকাই অফার করছেন। এর চেয়ে বেশি টাকা কিছুতেই দিতে চাইছেন না তাঁরা। তবে বিনোদন দুনিয়ায় সবটাই ক্ষণিকের। একটি ছবি হিট হলেই সম্পূর্ণ সমীকরণ বদলাতে কিন্তু বেশি সময় নেবে না। কে বলতে পারে, এখন ছবি ফ্লপ হওয়ার জন্য যেখানে টাইগারের পারিশ্রমিক ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ছবি হিট হওয়ার পর সেই অভিনেতার পারিশ্রমিকই বেশ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে না!