বাংলা হোক কিংবা হিন্দি, ধারাবাহিক (Serial) মানেই সেখানে ঠাকুরকে দেখা যায়ই। যেহেতু সিরিয়ালে একটি পরিবারের কাহিনী দেখানো হয়, সেই কারণে সেখানে সাধারণ আর পাঁচটা বাড়ির মতো ঠাকুরের উপস্থিতি থাকাও একপ্রকার বাধ্যতামূলক। অন্যথা নয় জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’ও (Boddhisatwer Bodhbuddhi)।
তবে এবার সেই সিরিয়াল ঘিরেই একটি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই ধারাবাহিকের বিরুদ্ধে উঠেছে হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে (Religious sentiments) আঘাত করার এক গুরুতর অভিযোগ। ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’র একটি দৃশ্য দেখার পরই দর্শকদের একাংশ বেজায় চটে গিয়েছেন।
কয়েকদিন আগেই সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে, গোপুকে নিজের প্রিয় বন্ধু হিসেবে মেনে নিয়েছে ছোট্ট বোধিসত্ত্ব। সরল মনে সে নিজে যা খাচ্ছে, প্রিয় বন্ধুকেও তাই খেতে দিচ্ছে। গোপুকে তালের বড়া খেতে দিয়েছে বোধি। এরপর হজমের ওষুধ দিয়ে আবার দুধ ভাতও খাইয়েছে। এত পর্যন্ত সবটাই ঠিক ছিল, কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে গোপাল ঠাকুরকে চপ-পিঁয়াজি খেতে দেওয়ায়।
পরশুদিন দেখানো হয়েছিল, প্রিয় বন্ধু গোপুকে চপ এবং পিঁয়াজি খেতে দিয়েছে ছোট্ট বোধিসত্ত্ব। আর তা দেখেই চটে গিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। কারণ আমরা যেহেতু চপ-পিঁয়াজি আমিষ হিসেবে গণ্য করি, সেহেতু ঠাকুরকে কীভাবে আমিষ খাবার দেওয়া যায় সেই প্রশ্ন তুলেছেন দর্শকদের একাংশ। শুধু দেওয়াই নয়, সেই খাবার একেবারে গোপালের থালায় তুলে দেওয়া হয়েছে।
https://youtu.be/hDjgX6xizZc
ক্ষিপ্ত দর্শকদের প্রশ্ন, বোধি তো শিশু, সে না হয় না বুঝতে পেরে নিজের খাবার গোপালের কাছে দিয়ে এসেছে। কিন্তু নির্মাতারা কীভাবে পারলেন গোপালকে এই খাবার দিতে? এমনও দেখানো যেত, বোধি গোপালকে চপ এবং পিঁয়াজি দিতে যাওয়ার সময়ই তাঁর মা এসে তাঁকে বাধা দিল এবং তাঁকে বোঝালো পেঁয়াজ যেহেতু আমিষ, তাই সেই খাবার ঠাকুরকে দিতে নেই।
‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’তে ঠাকুরের মূর্তি নিয়ে ছেলেখেলা করার গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। সিরিয়ালে দেখানো মূর্তি যেহেতু আসল, তাহলে সেখানে কীভাবে চপ পিঁয়াজি দিল বোধি? দর্শকদের একাংশ কিছুতেই এই জিনিসটি মেনে নিতে পারছেন না।