এখন তো বাংলা সিরিয়াল (Benali Serial) মানেই সেখানে পরকীয়া কিংবা কূটকচালি দেখানো হবে। দর্শকদের অধিকাংশের দাবিই এমনটা। কিন্তু প্রত্যেক সপ্তাহে যখন টিআরপি (TRP) তালিকা প্রকাশিত হয়, তখন দেখা যায় সেই সিরিয়ালগুলিই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। অপরদিকে তালিকার প্রথম দশেও নেই ভিন্ন স্বাদের গল্পের সিরিয়ালগুলি। যেমন- ধরুন ‘গোধূলি আলাপ’ (Godhuli Alap) কিংবা ‘লালকুঠি’ (Laalkuthi)।
যে কোনও ধারাবাহিক দর্শকদের কতটা পছন্দ হচ্ছে তা নির্ধারণ করা হয় টিআরপি তালিকা দেখেই। এটিই নির্ধারণ করে সেই ধারাবাহিক টেলিভিশনের পর্দায় কতদিন দেখানো হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সিরিয়ালের কত প্রশংসা করা হল কিংবা কতটা খারাপ কথা বলা হল, তা দিয়ে কিছু যায় আসে না। কারণ টিআরপি কম থাকলে নির্মাতারা সেই সিরিয়াল বন্ধ করতে বাধ্য।
সম্প্রতি যেমন ‘গোধূলি আলাপ’ এবং ‘লালকুঠি’র কম টিআরপি দেখে বেশ চটেই গিয়েছেন দর্শকদের একাংশ। অসমবয়সী বিয়ের গল্প দেখানো হয় ‘গোধূলি আলাপ’এ। কখনও দেখা যায়, স্বামীর বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিচ্ছেন স্ত্রী। আবার কখনও দেখানো হয় স্ত্রীয়ের লড়াইয়ে পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন স্বামী। পাশাপাশি শাশুড়ি-বৌমার মিষ্টি সম্পর্কও রয়েছে। সমাজের রোজনামচার জীবনের এত সুন্দর কাহিনী দেখানো সত্ত্বেও টিআরপি তালিকায় প্রথম দশে নেই সিরিয়াল।
অপরদিকে সম্পূর্ণ ভিন্ন স্বাদের গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল রাহুল এবং রুকমা অভিনীত ‘লালকুঠি’। এখানে বাকি পাঁচটা সিরিয়ালের মতো কূটকচালি কিংবা পরকীয়া নয়, বরং রহস্য রোমাঞ্চে ভরা এই ধারাবাহিক। প্রতিনিয়তই কোনও না কোনও রহস্যভেদ হয় এই সিরিয়ালে। তবে এত সুন্দর গল্প দেখানো সত্ত্বেও টিআরপি তালিকায় প্রথম দশে নেই ‘লালকুঠি’ও।
অপরদিকে এমন ভিন্ন স্বাদের সিরিয়াল টিআরপি তালিকায় প্রথম দিকে স্থান না করে নিলেও দেখা যাচ্ছে সেই একঘেয়ে পরকীয়া এবং সাংসারিক কূটকচালির ধারাবাহিকগুলিই টিআরপি তালিকায় প্রথম দিকে স্থান করে নিচ্ছে। তাহলে কি এমন কাহিনীই পছন্দ দর্শকদের? ছকভাঙা সিরিয়াল তৈরি করা হলেই তাহলে কি টিআরপি তালিকায় এমন দশা হবে সিরিয়ালগুলির? উঠছে সেই প্রশ্নও।